ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রতিটি মসলা পণ্যেই উৎপাদন ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
প্রতিটি মসলা পণ্যেই উৎপাদন ঘাটতি: কৃষিমন্ত্রী

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মরিচ- প্রতিটি মসলা পণ্যেরই চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। একইসঙ্গে এসব পণ্যের যে ঘাটতি রয়েছে, তা পূরণে দেশে আবাদ বাড়ানোর জন্য সরকার কৃষকদের ঋণসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে কৃষিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ দিনের অধিবেশন শুরু হয়।

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ২৪ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু উৎপাদন হয় ২০ লাখ মেট্রিক টন। রসুনের চাহিদা পাঁচ লাখ ২৭ হাজার ৮৩৩ মেট্রিক টন। যেখানে উৎপাদন হয় তিন লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন। আদার চাহিদা ৩ লাখ ৩৫ মেট্রিক টন। উৎপাদন হয় দুই লাখ ২৬ হাজার মেট্রিক টন। হলুদের চাহিদা তিন লাখ ১৫ হাজার ৪২২ মেট্রিক টন। অথচ মরিচের চাহিদা তিন লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন। উৎপাদন হয় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩১১ মেট্রিক টন।

বর্তমান কৃষিবান্ধব সরকার মসলা আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের চার শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে। মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের আটটি বিভাগের ১৯৪টি উপজেলায় ১১৩টি ব্যাচে ৩৩৯০ জন কৃষককে ইতোমধ্যে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এছাড়া চলতি বছরই আরও ৮৭টি ব্যাচে ২৬১০ জন কৃষককে প্রক্ষিণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২০
এসকে/এসই/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।