বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারা লাখাই উপজেলার স্বজন গ্রামে অবস্থান করেন। তাদের সঙ্গে ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি হাসান শাহরিয়ার ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শামীম আহছান।
ভাস্বতী দত্ত চক্রবর্তী জানান, লাখাই উপজেলার সিংহগ্রামের দত্তবাড়িতে বসবাস করেছেন তার পূর্বপুরুষ দীপ চন্দ্র দত্ত ও দাদা উমেশ চন্দ্র দত্ত। ১৯৪৭ সালে তারা উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতের শীলচরে চলে যান। ভাস্বতীর বাবা নির্মল চন্দ্র দত্ত ছিলেন কোলকাতার জেলা জজ। বোন স্বাশতী দত্ত ইন্টেরিয়র ডিজাইনার। এছাড়া তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর তার আগের কোনো প্রজন্ম বাংলাদেশে আসেননি। দীর্ঘদিন ধরে পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া ভিটে-মাটি দেখার জন্য চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি তার নানার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সুনামগঞ্জ জেলার পাইলগাঁও ব্রজনাথ (বিএন) হাইস্কুলের শতবর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে বাংলাদেশে এসেছেন। পরিবারের পাঁচ সদস্য অনুষ্ঠান শেষে চলে গেলেও তিনি তার স্বামীকে নিয়ে পূর্বপুরুষের ভিটে-মাটি দেখার জন্য থেকে গেছেন।
বাড়িটিতে বর্তমানে স্থানীয় কালা মিয়ার ছেলে শহীদ মিয়া বসবাস করছেন। ভাস্বতী দত্ত ও তার স্বামী বাড়িতে গেলে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় শহীদের ছেলে-মেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার পরামর্শ দেন ভারতের দুই নাগরিক।
এর আগে লাখাই উপজেলা পরিষদে এলে তাদের অভ্যর্থনা জানান লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ। পরে দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ দিয়ে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। সুস্বাদু খাবারের প্রশংসা ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ এখানকার মানুষদের অতিথিয়তায় মুগ্ধ হন অধ্যাপক ভাস্বতী ও তার স্বামী।
বাংলাদেশ সময়: ০২১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এএটি