ফুটপাত দিয়ে যানবাহন চালানো বন্ধে এই প্রতিবন্ধক খুঁটি (স্টিলের দণ্ড) বসিয়েছিলো সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এসএমপি ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে পরামর্শ করে এমনটি করেছে সিসিক।
এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৗশলী নুর আজিজুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, জনস্বার্থে আমরা প্রতিবন্ধক খুঁটি বসিয়েছিলাম। কিন্তু তা রক্ষণাবেক্ষণ বা চুরি প্রতিরোধের দায়িত্ব পুলিশের। তবে চুরি হওয়ার কারণে আর প্রতিবন্ধক খুঁটি বসানোর উদ্যোগ নেবে না সিসিক। স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দিনে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন ফুটপাতের ৫টি প্রতিবন্ধক খুঁটির ৩টি চুরি হয়ে যায়। পরদিন বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে বাকি দু’টি খুঁটিও চুরি করে নেয় অজ্ঞাত চোরেরা। ফুটপাত লাগোয়া রাস্তার পাশে লাইট স্ট্যান্ড থাকলেও কে বা কারা চুরি করে নিয়েছে, তাও বলতে পারেননি চালকরা।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ফুটপাত দিয়ে যানবাহন চালানো পরিবহন আইনে অপরাধ। এরপরও সিলেটের ফুটপাত দিয়ে যানবাহন চালানো যেন রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে মূল সড়কে যানজট দেখলেই মোটরসাইকেল এমনকি রিকশা নিয়েও ফুটপাতে উঠে যান চালক।
আর ফুটপাতের অপব্যবহার বিপত্তিতে পড়েন পথচারীরা, তেমনি দুর্ঘটনাও ঘটে। যে কারণে ‘আইন মানাতে’ ফুটপাত দিয়ে যান চলাচল বন্ধে প্রতিবন্ধক হিসেবে স্টিলের দণ্ড বসিয়েছে সিসিক। এ কারণে পথচারীরা যানবাহনের যন্ত্রণা থেকে স্বস্তি পেলেও তা স্থায়িত্ব পায়নি।
এসএমপি ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল বা কোনো ধরনের যানবাহন চালানোর অপরাধে ২০১৮ সালের মোটরযান আইনের ৯২ (১) ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা যায়। এখন পর্যন্ত এ অপরাধে অন্তত ৩০টি মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৫১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এনইউ/এএটি