করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে চীনে এ পর্যন্ত ১৭১ জন মানুষ মারা গেছে। চীনে বেশ কিছু বাংলাদেশি আটকা পড়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম-২০২০’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান মন্ত্রী।
বাংলাদেশি নাগরিক দেশে আনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন সরকার অ্যালাউ করলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে। আমরা রেডি, সবকিছুই রেডি করেছি। তার আগে চীনের ডেট দিতে হবে। চীন সরকার যখন তাদের অনুমতি দেবে তারা তখন আসবেন। আমরা চীনের ওপরে মাতব্বরী করবো না। চীন চাইলে যেকোনো সময় আমরা তাদের দেশে আনতে পারবো। চীন সরকার ছেলেমেয়েদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করবে অসুখ-বিসুখ হলে। আমাদের ৩৭০ জন নাগরিক দেশে আসতে চান। তাদের আলাদাভাবে রাখতে হাসপাতালে বিশেষ আয়োজন করেছি। আনার পরে দায়িত্ব স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। তবে আনন্দের বিষয় আমাদের কেউ আক্রান্ত হননি। চীন থেকে দেশে ফেরার পর তাদের হাসপাতালে নেওয়া হবে। এই বিষয়ে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে হাসপাতালে।
‘তবে আমাদের ১৫ নাগরিক আসবেন না। তাদের বক্তব্য, তারা দেশে ফিরলে যদি করোনা ভাইরাসে অসুস্থ হয়ে যান, তবে দেশের ক্ষতি। '
এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, চীন থেকে ওরা এলে ওদের আলাদাভাবে রাখবো এবং পর্যবেক্ষণ করবো। হাসপাতালে তাদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। ঝুঁকি তৈরির সম্ভাবনা থাকে তবে সুখের বিষয় আমাদের কেউ আক্রান্ত হয়নি। কবে আসবে ডেট ঠিক বলতে পারবো না। চীনের ওপরে মাতব্বরী করতে চাই না। চীন থেকে এলে তাদের নাম ঠিকানা নিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখবো।
বৃটিশ এয়ারওয়েজ তাদের ফ্লাইট চীনে বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের এমন পরিকল্পনা আছে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেয়নি।
পদ্মাসেতুসহ নানা প্রকল্পে চীনারা কাজ করে। এতে করোনা ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা আছে কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা আশঙ্কার মধ্যে সবাই আছি, তবে আমরা আতঙ্কগ্রস্ত হতে চায় না।
বাংলাদেশ সময়: ০৫৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এমআইএস/এএটি