যাত্রীরা জানান, শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে কেবিনের যাত্রীদের ফোন করে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়টি জানিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে হঠাৎ করে এমন একটি সিদ্ধান্ত জানার পর বিপাকে পড়েছেন তারা।
যাত্রীরা অভিযোগ করে জানান, বৃহত্তর স্বার্থে সরকার নৌচলাচল বন্ধ রাখতেই পারে, তবে বিষটির অগ্রিম ঘোষণা থাকলে দুর্ভোগে পরতে হতো না।
এদিকে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, বিআইডব্লিউটএ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানানোর সঙ্গে সঙ্গে কেবিনের যাত্রীদের বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন তারা।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরিশালের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. কবির হোসেন জানান, সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুসারে লঞ্চের চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৫ অনুসারে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার রাত ১২টা পর্যন্ত রাজধানীমুখী সব লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌ-যান (ইঞ্জিন চালিত ক্ষুদ্র নৌযান বা জনগণ তথা ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান ব্যতীত) ও স্পিডবোট চলাচলের উপর নির্বাচনের কারণে ২৯ জানুয়ারি নিষেধাজ্ঞা আরোপ সংক্রান্ত চিঠি ইস্যু করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এমএস/জেডএস