শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সকালে ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা হিন্দুপাড়া এলাকার ঝিনাই নদীর পাড়ে কদম গাছ থেকে কানাই মালো (১৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ভূঞাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামছুল ইসলাম জানান, কানাই মালো টাঙ্গাইল শহরে ফনিদ্র মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে কাজ করতেন। বুধবার সরস্বতী পূজা উপলক্ষে বাড়িতে আসেন তিনি। বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল চলে যাচ্ছেন বলে তার মাকে জানায়। শুক্রবার সকালে ফলদা রামসুন্দর ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ঝিনাই নদীর পাড়ের একটি কদম গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে নিহতের পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।
অপরদিকে জেলার গোপালপুরে ব্যাটারিচালতি অটোরিকশার ধাক্কায় মরিয়ম বেগম (৫৫) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। তিনি গোপালপুর পৌরসভার তামাকপট্টি এলাকার ইউসুফ আলীর স্ত্রী। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে থানা সংলগ্ন পোস্ট অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতের ভাতিজা নুর আলম জানান, দুপুরের দিকে গোপালপুর পোস্ট অফিসের সামনে মরিয়ম বেগম সড়ক পার হওয়ার সময় একটি অটোরিকশার ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত্ব চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে ধনবাড়ী উপজেলার পৌর শহরে নিজ অফিস কক্ষ থেকে সুলতানুজ্জামান হেলালকে (৫০) খুন করে মরদেহ গুম করার অভিযোগ তুলেছে নিহতের পরিবার।
নিহতের বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক জানান, জেলার ধনবাড়ী পৌরশহরে স্কুল শিক্ষক মো. সুলতানুজ্জামান হেলালকে খুন করে মরদেহ গুম করা হয়েছে। পরিবারে অভিযোগ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তার অফিস কক্ষে খুন করে তাকে গুম করে দুর্বৃত্তরা।
নিহত সুলতানুজ্জামান পৌর শহরের নলহরা (নল্যা) বাজারের আরএনজি প্রি-ক্যাডেট স্কুলের পরিচালক এবং উপজেলার বানিয়াজান ইউনিয়নের বাঐজান গ্রামের মৃত হাসান আলী মণ্ডলের ছেলে।
বৃহস্পতিবার রাতে সুনতানুজ্জামান হেলাল ধনবাড়ী বাজার থেকে কাঁচাবাজার করে নল্যা বাজারের বিষ্ণুর সেলুনের দোকানের সামনে তার মোটরসাইকেলটি রেখে চা পান করতে যান। দীর্ঘ সময় চলে যাওয়ার পরও তিনি ফিরে না এলে ফোন দেন বিষ্ণু। ফোন বন্ধ পাওয়ায় বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানান।
খোঁজাখুজির একপর্যায়ে তার স্কুলের অফিস কক্ষের মেঝেতে বিভিন্নস্থানে পড়ে থাকা রক্ত এবং মোবাইল ফোনটি পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা। তাকে খুন করে গুম করা হয়েছে বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে সহর প্রি-ক্যাটেড অ্যান্ড হাইস্কুলের পরিচালক সহর আলী বলেন, সুলতানুজ্জামান হেলালকে খুন করে গুম করা হয়েছে বলে আমরা ধারণা করছি।
ধনবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফুল ইসলাম ও এসআই মাজাহার এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তাকে হত্যা করে গুম করার ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে তার পরিবারের দাবি তাকে খুন করে গুম করা হয়েছে এবং থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
আরএ