শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে পুলিশ ওই মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে পরিবারের লোকজনের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে নিজের ঘরে ঘুমাতে যায় আলেয়া। সকালে পরিবারের সদস্যরা উঠে দেখেন আলেয়ার মরদেহ তার ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
ওই ঘটনায় থানায় খবর দেওয়া হলে দুপুরের দিকে পুলিশ গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় আলেয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। এরপরপরই তার সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি শুর করে পুলিশ।
কিন্তু আলেয়ার বাবা রোজদার আলী পুলিশকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে তার মেয়ে পেটের পীড়ায় ভুগছিল। হয়তো সেই যন্ত্রণা সইতে না পেরে নিজ ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে। তারা কোনো ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফনের আবেদন করেন।
ওসি জানা, কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের জন্য পরিবারকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এসএস/এইচজে