শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আলীশ্বরে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের ভিক্ষু পরিবাসব্রত (ওয়াইক) ও ব্যূহচক্র মেলা ঘিরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। আলীশ্বর শান্তিনিকেতন বৌদ্ধ বিহার ও সর্বস্তরের বৌদ্ধ জনগোষ্ঠীর উদ্যোগে এ মেলার আয়োজন করা হয়।
ভিক্ষু পরিবাসব্রত উপলক্ষে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৌদ্ধ ধর্মের মূল মন্ত্র হচ্ছে অহিংসা পরম ধর্ম, হানাহানি-কাটাকাটি নেই, জীব হত্যা নেই, জগতের সব প্রাণী সুখী হউক। আর বাংলাদেশ হচ্ছে অসাম্প্রদায়িক আর শান্তির দেশ। লাখও শহীদের রক্ত একাকার হয়ে মিশে গেছে এখানে। মুসলিম-হিন্দু-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ সব ধর্মের মানুষ যুদ্ধ করে এ দেশ স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল এ দেশে সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে নিজের ধর্ম পালন করবে। সবাই মিলেমিশে এ দেশে বাস করবে। বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ ও দারিদ্র্যমুক্ত। এ লক্ষ্য নিয়েই বর্তমান সরকার কাজ করে চলেছে। বর্তমান সরকার জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে প্রত্যেকে স্বাধীনভাবে যার যার ধর্ম পালন করবে। এই পরিবেশটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। আসুন সবাই মিলে একসঙ্গে দেশকে গড়ে তুলি। আমরা সংঘাত চাই না, শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার উন্নতি চাই।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ভারতীয় সংঘরাজ ভদন্ত রতনজ্যোতি মহাথের, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার অধ্যক্ষ ড. জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত প্রিয়ানন্দ, ফরা বুদ্ধশ্রী মহাস্থবির, ভদন্ত জিনপ্রিয় স্থবিরসহ কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তানভির সালেহীন ইমন, লাকসাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউনুস ভূঁইয়া, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মালেক, ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজুমদার প্রমুখ।
গত ২০ জানুয়ারি বিশ্বশান্তি কামনায় সমবেত প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয়ে ৩১ জানুয়ারি মানবতার মুক্তি প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে সমাপ্তি ঘটে ভিক্ষু পরিবাসব্রত (ওয়াইক) ও ব্যূহচক্র মেলা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২০
এইচজে