শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তোলেন ইশতিয়াক।
ইশতিয়াক বলেন, আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ একজন মানুষ।
‘কিছুদিন আগে আমি শ্রীমঙ্গল শহরের সিন্দুরখাঁন রোডের সুনগইড় মৌজায় জেএলনং-৬৮, আরএস-২২২১ নম্বর খতিয়ানের ১৫৭৮ দাগে আমার খরিদ করা ও উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ১০.৭১ শতক জমিতে বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেই। সে সময় আমারই বড় ভাই শহরের প্রভাবশালী আব্দুল মুহিত তফাদার ও তার লোকজন বলপ্রয়োগ করে আমার বাড়ি নির্মাণে বাধা দেয়। বারবার বাড়ি নির্মাণ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ২০১৯ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি আমি শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করি। ’
ইশতিয়াক আরও জানান, পরবর্তী সময়ে ৩ মার্চ থানা প্রশাসনের কথায় ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মধ্যস্থতায় বাড়ি নির্মাণের সামগ্রী ও ঘরের জিনিসপত্র তালা মেরে কিছু সময়ের জন্য পুনরায় আমি কানাডায় চলে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে প্রতিবেশীদের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার ভাই, ভাতিজা ও তাদের লোকজন নিয়ে ঘরের তালা ভেঙে মালামাল লুট করেছেন। শুধু তাই নয়, আমার বাড়ি ও জমি জবরদখলের উদ্দেশ্যে ভাড়াটিয়া প্রবেশ করানোর চেষ্টাও চালান তারা। ওই খবর জানতে পেরে গত ৩১ ডিসেম্বর পুনরায় কানাডা থেকে আমি শ্রীমঙ্গলে আসি।
‘এরই মাঝে গত ৫ জানুয়ারি আব্দুল মুহিত তফাদার সদলবলে ঘরে অনুপ্রবেশ করে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার ওপরে হামলা চালান। ওই ঘটনায় আহত হয়ে আমি প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেই। এ ব্যাপারে ওই দিনই শ্রীমঙ্গল থানায় আমি একটি মামলা (মামলা নম্বর-১০) দায়ের করি। পরবর্তী সময়ে শ্রীমঙ্গল থানা-প্রশাসনের সহায়তায় বাড়ি দখলমুক্ত করা হয়। আমি বর্তমানে সেখানেই বসবাস করলেও আবারও আমার ওপর হামলার আশঙ্কা করছি। আমার জীবন হুমকির মুখে রয়েছে। এ ব্যাপারে আমি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
বিবিবি/এইচজে