এ ঘটনার পর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশিদের ফেরত দিতে শুক্রবারই (৩১ জানুয়ারি) বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে ছিল বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরপর শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে গোদাগাড়ীর খরচাকা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের একটি প্রতিনিধি দল পতাকা বৈঠকের জন্য সেখানে যান।
এর বিপরীতে ভারতের নির্মল চর সীমান্ত। সেখানেই বিএসএফ দলের আসার কথা ছিলো। কিন্তু তারা আসেনি। ফলে পতাকা বৈঠক না করেই বিজিবির দলটিকে ফিরে আসতে হয়। তবে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে বৈঠক হয়।
কিন্তু পতাকা বৈঠকের পর শূন্য হাতেই ফিরতে হয়েছে বিজিবির ওই প্রতিনিধি দলকে। বিএসএফের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আটক পাঁচ বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের মুর্শিদাবাদ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বলেন, সকালে বিএসএফ পতাকা বৈঠকে আসেনি। তবে দ্বিতীয় দফার চেষ্টায় বিকেলে বৈঠক হয়। কিন্তু বৈঠকের সময় তারা জানিয়েছে যে, আটক বাংলাদেশিদের মুর্শিদাবাদ থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। তাই পতাকা বৈঠকে তাদের ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়।
এর আগে গোদাগাড়ী উপজেলার খরচাকা সীমান্ত থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। বিজিবির রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দিন মাহমুদ বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন।
আটকরা হলেন- রাজন হোসেন (২৫), সোহেল রানা (২৭), কাবিল হোসেন (২৫), শাহীন আলী (৩৫) ও শফিকুল ইসলাম (৩০)। পবা উপজেলার গহমাবোনা গ্রামে তাদের বাড়ি। পদ্মার চরে তারা গরু চরাতে গিয়েছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। তখনই তাদের ধরে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ সময় তাদের একজনকে নির্যাতনও করা হয়।
রাজশাহীর পবার হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বজলে রেজবী আল হাসান মুঞ্জিল জানান, যাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে তারা সবাই রাখাল। নিজেদের বাড়িতে পালন করা গবাদিপশু পদ্মানদীর চরে চরাতে যান। শুক্রবারও তারা গরু চরাতে গিয়েছিলেন। এসময় তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২০
এসএস/ওএইচ/