ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ফেনীতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২০
ফেনীতে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে ৫ গ্রাম প্লাবিত ভাঙন কবলিত একটি এলাকা, ছবি: বাংলানিউজ

ফেনী: ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় মুহুরী নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম।

রোববার (১ নভেম্বর) বিকেলে ইউএনও জানান, এখন ভাঙনের স্থান দিয়ে প্রবল বেগে এলাকাগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। পানিবন্দি পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।

ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জানান, শনিবার (৩১ অক্টোবর) দিনগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর দৌলতপুর এলাকার মোহাম্মদ উল্যাহর বাড়ির পাশে বাঁধের ৫০-৬০ ফুট অংশ ভেঙে প্রবল বেগে গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করে। একই রাতে দক্ষিণ দৌলতপুরেও বাঁধের একটি স্থান ভেঙে পড়ে। এর ফলে দক্ষিণ দৌলতপুর, ঘনিয়ামোড়া, শাহাপাড়া, শ্রিপুরসহ পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়।

তিনি আরও জানান, এর আগে গত জুলাই মাসে বাঁধ আরেকবার ভেঙেছিল। এবারও সেই একই স্থানে বাঁধ ভেঙেছে।  

নুরুল ইসলামের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার যথা সময়ে মেরামত না করায় সেটি পুনরায় ভেঙে পড়ে।

বন্যা পুর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রোববার সকাল ৬টার দিকে মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আকতার হোসেন মজুমদান জানান, রোববার সকালে পাউবোর কর্মকর্তা ভাঙনের স্থান পরিদর্শন করেছেন। পানির স্রোতের ফলে ভাঙনের স্থান মেরামত করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে মুহুরী নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমলে দ্রুত বাঁধ সংস্কার করা হবে।

ফাটল দেখা দেওয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের আরও বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভাঙনের স্থানগুলো দিয়ে এখনও প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে। অন্য কোনো স্থানে যাতে ভাঙন সৃষ্টি না হয় সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষ সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। বিস্তীর্ণ জমির রোপা ও শীতকালীন শাক-সবজির ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২০ 
এসএইচডি/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।