ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জেলহত্যা দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
জেলহত্যা দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত জেলহত্যা দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ঢাকা: জেলহত্যা দিবস স্মরণে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) ঢাকায় তার দপ্তর থেকে স্মারক ডাকটিকিটের সমন্বয়ে সিটলেট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটাকার্ড প্রকাশ করেন।

৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর জাতির কলংকের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় ঘটনা।

দিবসটি স্মরণে ডাক অধিদপ্তর ৫ টাকা মূল্যমানের ৫টি স্মারক ডাকটিকিটের সমন্বয়ে একটি সিটলেট, ১০ টাকা মূল্যমানের একটি উদ্বোধনী খাম, ৫ টাকা মূল্যমানের একটি ডাটা কার্ড ও একটি বিশেষ সিলমোহর প্রকাশ করা হয়। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর তিনি ব্যবহার করেন। স্মারক ডাকটিকিট সমন্বয়ে সিটলেট ও উদ্বোধনী খাম ৩ নভেম্বর মঙ্গলবার ঢাকা জিপিও এর ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে অন্যান্য জিপিও ও প্রধান ডাকঘরসহ দেশের সব ডাকঘর থেকে এ স্মারক ডাকটিকিট, ডাটা কার্ড বিক্রি করা হবে। উদ্বোধনী খামে ব্যবহারের জন্য চারটি জিপিওতে বিশেষ সিলমোহরের ব্যবস্থা আছে।  

দিবসটি স্মরণে স্মারক ডাকটিকেট অবমুক্ত উপলক্ষে মন্ত্রী বিবৃতিতে বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর জেল হত্যাকাণ্ড ইতিহাসের কেবলমাত্র আরও একটি পৈশাচিক ও বর্বোরোচিত ঘটনাই ছিল না। এটি ছিল জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন বাংলার স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার স্বপ্নকে ধ্বংস করার জন্য দেশি-বিদেশি কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রের ফসল। ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বরের হৃদয় বিদারক ঘটনা দুটি ছিলো বাঙালি জাতিকে কার্যকর নেতৃত্ব থেকে বঞ্চিত করার পরাজিত শক্তির গভীর ষড়যন্ত্রের কুৎসিৎ বাস্তবায়ন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফা জব্বার জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানের ভূমিকা তুলে ধরে বলেন, তারা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরীক্ষিত রাজনৈতিক সহকর্মী। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের রক্তের সঙ্গে তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেননি বলেই ইতিহাসের মীর জাফর রূপী খুনি মোস্তাক তাদের বাঁচতে দেননি। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে এদেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের পরতে পরতে তাদের ভূমিকা তাদেরকে ইতিহাসে অমরত্ব দান করবে।

জাতীয় চার নেতা বঙ্গবন্ধু, সংবিধানের চার মূল নীতি বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র এবং সমাজতন্ত্রের প্রতি আনুগত্যের যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা তাদেরকে চির জাগরূক করে রাখবে এই বাংলায়, বাঙালির হৃদয়ে ও মননে যুগ থেকে যুগান্তর, কাল থেকে কালান্তর বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমআইএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।