ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

অতিরিক্ত মুনাফাই টার্গেট আগাম আলুচাষিদের

কাওছার উল্লাহ আরিফ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০২০
অতিরিক্ত মুনাফাই টার্গেট আগাম আলুচাষিদের ছবি: কাওছার উল্লাহ আরিফ

বগুড়া: বগুড়ার ১২টি উপজেলায় আগাম আলু চাষে নেমে পড়েছেন চাষিরা। জেলায় এখনো পুরোদমে রোপা আমন ধান কাটা-মাড়াই শেষ না হলেও অতিরিক্ত মুনাফার আশায় চাষিরা তাদের সবজি আবাদি জমিগুলো ফেলে না রেখে আগেভাগেই শুরু করেছেন আলু চাষ।



মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) বগুড়া সদর, শাজাহানপুর, শিবগঞ্জসহ কয়েকটি উপজেলা ঘুরে দেখে যায়, আলু নিয়ে চাষিদের নানান কর্মযজ্ঞ।

বগুড়ায় ফসলি মাঠ কোনো সময় ফেলে রাখেন না চাষিরা। তাই মৌসুমি বিভিন্ন সবজি আবাদের পর এবার নেমে পড়েছেন আগাম আলু চাষে। কেননা আগাম জাতের আলুতে অতিরিক্ত মুনাফা চাষিদের আকৃষ্ট করছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় এখনো বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে রয়েছে কাঁচা-পাকা ধান। আগামী দুই-তিন সপ্তাহের মধ্যেই পুরোদমে এ ধানগুলো কাটা-মাড়াই শুরু হয়ে যাবে। তারপর এ জেলার চাষিরা একযোগে তাদের বিস্তীর্ণ ফসলি মাঠে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করবেন। এদিকে জেলায় মাঠে মাঠে চাষিরা একদিকে তাদের জমিগুলো প্রস্তুত করতে হাল দিচ্ছেন, আলগা মাটি সমান করতে জমিতে মই দিচ্ছেন, অন্যদিকে আলু বীজ বপনে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কেউ কেউ। বাতাস না থাকায় চারপাশে এখন অনেকটাই ভ্যাপসা গরম। সেদিকে একদম খেয়াল নেই তাদের।

শিবগঞ্জ ও শাজাহানপুর উপজেলার চাষি আব্বাস মিয়া, মোনতেজার রহমান, সাজ্জাদ আলী, তৌকিরসহ একাধিক চাষি বাংলানিউজকে জানান, তাদের সিংহভাগ জমিতে এখনও ধান রয়েছে। তবে যে সব জমির ধান কাটা হয়ে গেছে বা যেগুলোতে মৌসুমি বিভিন্ন সবজি লাগানো হয় এমন জমিগুলোতে আলু চাষের প্রস্তুতি চলছে। কবে বাকি জমিগুলোর ধান কাটা শেষ হবে এখন তারই অপেক্ষা। তারপর একযোগে চলবে আলুর আবাদ। এ মৌসুমে আলুতে ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে আশা করছেন তারা।

সদর উপজেলার লাহেড়ীপাড়া ইউনিয়নের একরাম হোসেন, তারাজুল, মোমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, অতিরিক্ত মুনাফা পেতে তাদের মতো অনেকেই আগাম আলু চাষ করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এবছর আলু বীজের দাম তুলনামূলক বেশি। বীজ কিনতে অনেকেই হিমশিম খাচ্ছেন।

তারা জানান, এবছর দ্বিগুণ দামে আলু বীজ কিনতে হচ্ছে তাদের। বর্তমানে বাজার থেকে তারা লাল পাকরি আলুর বীজ কিনছেন প্রতিকেজি ৪৫ টাকা দরে এবং কার্ডিনাল প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে। তবুও সবমিলিয়ে আলুতে অধিক লাভের আশায় বুক বেঁধেছেন তারা। কঠোর পরিশ্রম আর অর্থ ব্যয় শেষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানোই স্বপ্ন তাদের।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, আলু চাষে প্রয়োজন শুকনো মাটির জমি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তুলনামূলক উঁচু জমিগুলোতে আলু চাষ শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত মুনাফার আশায় অনেকেই তাদের জমিগুলোতে আলু চাষ শুরু করেছেন। রোপা আমন কাটার পর ওইসব জমিতে একযোগে আলুর আবাদ শুরু হয়ে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
কেইউএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।