খুলনা: খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রী (১২) তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বটিয়াঘাটার বিরাট বাজারের স্থানীয় যুবকরা অভিযুক্ত অজিয়ার মোল্লাকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে ভান্ডারপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) বিশ্বজিৎ বাংলানিউজকে বলেন, এগুলো আমাদের পুলিশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আপনারা একটু পরে ফোন দেন। আমি আটক করেছিলাম, কিন্তু এখন তো সেভাবে বলতে পারছি না। ঊর্ধ্বতন অফিসারদের না জানিয়ে কিছু বলতে পারছি না।
মাদ্রাসাছাত্রীর ফুফা দুপুর ৩টা ৫০ মিনিটে বলেন, মেয়েটির বাবা থাকেন দুবাইয়ে। মা অন্য জায়গায় বিয়ে করে চলে গেছেন। যে কারণে বৃদ্ধা দাদির কাছে থাকে ও। প্রতিবেশী অজিয়ার চার মাস ধরে ওকে বিভিন্ন খাবার দিয়ে ভুলিয়ে ধর্ষণ করে। তার শারীরিক পরিবর্তন দেখে চিকিৎসক দেখানোর পর আমরা জানতে পারি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সোমবার বিকেলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। অজিয়ারের দু’টি মেয়ে আছে। আমরা অজিয়ারের বিষয়ে আইনের আশ্রয়ে যাবে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মেয়েটি বলেন, ওই লোক সব সময় আমাকে জিজ্ঞাসা করতো তোর দাদি, ফুফু কখন বাসায় থাকে না। খাওয়া দাওয়া করছিস। তারা খাইছে। প্রথমে আমারে খাবার ও ৫০ টাকা দিয়ে মেলা আদর করতো। একপর্যায় আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করছে। পরে ভয় দেখিয়ে বলেছে কাউরে বললে মেরে ফেলবে। এভাবে ভয় দেখিয়ে অনেক বার আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে।
এর আগে খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ঘুমের ওষুধ খাইয়ে (১২) বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক সঞ্জয় শীল (৫০) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (১ নভেম্বর) থানায় মামলা (নম্বর-০১) দায়ের হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/