সিলেট: সুখের সংসার গড়ার রঙিন স্বপ্ন নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসেন সিলেটের যুবক কাওসার আহমদ। দু’মাস আগে হাতে গ্রিন কার্ড পেয়েছিলেন তিনি।
সেই থেকে হয়তো মনের মনিকোঠায় জীবনকে রঙিন করে সাজানোর স্বপ্ন দেখছিলেন। বিয়ের পিঁড়িতেও বসেন ১৮ দিন আগে। নববধূকে তুলে আনেন ঘরে। কিন্তু তার সেই সুখের সংসার স্থায়ী হয়নি বেশিদিন।
বিয়ের মাত্র ১৮ দিনের মাথায় মঙ্গলবার (০৩ নভেম্বর) বিকেলে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস তার জীবন প্রদীপ নিভিয়ে দেয়। সিলেট মাউন্ট এডোরা হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। কাওসার সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তুরুককলা গ্রামের কানাডা প্রবাসী কিনু মিয়ার দ্বিতীয় ছেলে।
মঙ্গলবার বাদ এশা তুরুকখলা ঈদগাহ মাঠে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক করবস্থানে তার দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কাওসারের মৃত্যু পরিবারের কাছে হৃদয়বিদারক হয়ে ধরা দেয়। বিশেষ করে স্বামীকে হারিয়ে বাকরুদ্ধ নববধূ ও স্বজনরা।
তার পরিবারের ঘনিষ্টজন আশরাফুল ইসলাম ইমরান বাংলানিউজকে বলেন, চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে কাওসার থাকতেন যুক্তরাজ্যে। এক ভাই দেশে এবং মা-বাবা ও দুই বোন এবং অপর ভাই থাকেন কানাডায়।
তিনি বলেন, দেশে ফিরে সিলেট নগরের উপকন্ঠ আলমপুর এলাকায় বিয়ে করেন কাওসার। তার স্বপ্ন ছিল স্ত্রীকেও যুক্তরাজ্য নিয়ে যাবেন। কিন্তু তার দেখা সেই স্বপ্ন বিলীন হয়ে গেলো তিমিরে। বিষাদের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারটিতে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাওসার আহমদ সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার দাউদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমান। সেখানে দীর্ঘ বেশ কয়েকটি বসন্ত পার করেন গ্রীন কার্ড পেয়ে স্থায়ী হতে। কিন্তু গ্রিন কার্ড হাতে পেলেও স্থায়ী হলেন নিজভূমে, আপন ঠিকানায়, শেকড়ের মাটির বিছানায়।
স্থানীয়রা বলছেন, এ যেনো পরোপারের গ্রিন কার্ডে পেলেনে কাওসার।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৬ ঘন্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০
এনইউ/ইউবি