চাঁদপুর: ইলিশ প্রজনন রক্ষায় ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এ নিষেধজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে কারাদণ্ড ও নিয়মিত মামলায় ১৭৩ জেলে বর্তমানে জেলে রয়েছেন।
বুধবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০টায় চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞাপ্তিতে থেকে জানা যায়, গত ২২ দিনে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স ৬৪টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। ২৭১টি অভিযানে জব্দ হয় সোয়া ৫টন ইলিশ। একই সময় জব্দ করা হয় ৬ কোটি ৯৪ লাখ ৭৮ হাজার মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট ও সুতার জাল। অন্যান্য মাছ শিকারের জাল জব্দ হয়েছে ৫২টি। যার আনুমানিক মূল্য ১৩ কোটি ৮ লাখ ৯৫ হাজার ৬০ টাকা।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকি বাংলানিউজকে বলেন, জাতীয় সম্পদ ইলিশ রক্ষায় আমাদের আপ্রাণ প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিলো। তারপরেও অসাধু জেলেরা ইলিশ শিকার করতে ২২ দিনে ২৩৩ জন আটক হয়েছে। এর মধ্যে ১৭৩ জনের কারাদণ্ড ও নিয়মিত মামলায় জেল হয়েছে। বাকিদের বয়স কম ও অপরাধ অনুযায়ী ২ লাখ ৩ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি আরো বলেন, মা ইলিশ নিরাপদে মিঠা পানিতে ডিম ছাড়ার যে প্রচেষ্টা তাতে আমরা অনেকটা সফল। যার কারণ জেলার ৫১ হাজার জেলের মধ্যে দেড় থেকে ২ হাজার জেলে ইলিশ শিকারে লীপ্ত ছিলো। বাকিদের দীর্ঘদিন সচেতন করা, সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার কারণে ইলিশ শিকার থেকে বিরত রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০
আরএ