রাজশাহী: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের প্রচেষ্টায় মহানগরীর শিরোইল বাস্তুহারাপাড়ার প্রায় ২০০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি ১৮ বিঘা জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত জজ ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুস সালাম বাস্তুহারাপাড়ার অর্পিত সম্পত্তি মামলায় সরকারের পক্ষে আপিল মঞ্জুর করেন।
এ মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. এজাজুল হক মানু জানান, বাস্তহারাপাড়ার বাসিন্দারা প্রায় ২০০ বছর ধরে সেখানে অর্পিত সম্পত্তি লিজ নিয়ে বসবাস করে আসছেন। ২০১৩ সালে জায়গাটি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত ‘ক' তফসিল ঘোষণা করে সরকার। এরপর ২০১৩ সালেই নগরের কাদিরগঞ্জের মঈনউদ্দিন সরকার মনির, রশিদ আকতার, রুনা লায়লা ও রশিদা খাতুন জায়গাটির মালিকানা দাবি করে অর্পিত সম্পত্তি তালিকা থেকে অবমুক্ত করতে রাজশাহী জেলার অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ৬ জুন বাদীপক্ষে (সরকারের বিপক্ষে) রায় ঘোষণা করেন আদালত। পরে ৩০ অক্টোবর ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। বুধবার আদালত সরকারের পক্ষে অর্পিত আপিল মঞ্জুর করেন।
আইনজীবী এজাজুল হক মানু আরও বলেন, আদালতের রায়ে বলেছেন বাস্তুহারাপাড়ার জায়গাটি অর্পিত সম্পত্তি। ফলে বাদী পক্ষের দাবি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে আমরা ন্যায় বিচার পেয়েছি। এ রায়ে ২০০ কোটি টাকাে মূল্যের সম্পত্তি সরকারের বহাল থাকলো। রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র লিটন গাউন পরে আদালতে সরকারপক্ষের কৌঁসুলির সঙ্গে যুক্ত হয়ে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এছাড়া তিনি প্রতিনিয়ত মামলাটির খোঁজ-খবর েনিয়েছেন।
এদিকে রায় পাওয়ার পর বাস্তহারাপাড়ায় যান মেয়র লিটন। এ সময় বাস্তুহারাপাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে মেয়র লিটন বলেন, আপনাদের পক্ষ থেকে সরে যেতে আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। আমি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি। আমার বাবা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান জনগণের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। আমিও আপনাদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি, আপনাদের পাশে ছিলাম, আছি, আগামীতেও থাকবো।
বাস্তুহারাপাড়াবাসী রাসিক মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নগরের ২১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি তোজাম্মেল হক বাবলু, সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০২০
এসএস/আরআইএস