ঢাকা: ঢাকাসহ সারাদেশে আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের পাইকারি ও খুচরা বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে ১৩৮ প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
বুধবার (৪ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কর্তৃক ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে এ অভিযানে এসব জরিমানা করা হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির নির্দেশনায় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের পরামর্শ এবং জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ঢাকা মহানগরীর আজিমপুর, পলাশী বাজার, নিউমার্কেট কাঁচাবাজার, খিলগাঁও রেলগেট, মালিবাগ রেলগেট বাজার, মালিবাগ বাজার, রামপুরা বাজার ও কারওয়ানবাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. মাসুম আরেফিন, বিকাশ চন্দ্র দাস, সহকারী পরিচালক প্রনব কুমার প্রামানিক ও ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান।
এছাড়াও ঢাকার বাইরে বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালকের নেতৃত্বে বিভিন্ন বাজারে তদারকি ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে।
তদারকিকালে আলু, চাল, পেঁয়াজ, সয়াবিন তেল, আদাসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যৌক্তিক মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে কি না তা মনিটরিং করা হয়। এছাড়া পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, মূল্য তালিকার সঙ্গে বিক্রয় রশিদের গরমিল, পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণ না করা, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ ও পণ্য, নকল পণ্য, ওজনে কারচুপিসহ ভোক্তাস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন অপরাধে সারাদেশ ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানকে ছয় লাখ ৮১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
তদারকিকালে চাল, আলু, পেঁয়াজের মূল্য নিয়ে কারসাজি না করা এবং বাধ্যতামূলকভাবে পণ্যের ক্রয় রসিদ সংরক্ষণের বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বলেন, ভোক্তা স্বার্থ সুরক্ষায় নিয়মতান্ত্রিক ও নৈতিকতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনাকে এ অধিদপ্তর সবসময়ই স্বাগত জানায়। কিন্তু অসাধু ও অনৈতিক যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর জিরো টলারেন্স প্রদর্শন করবে।
এছাড়াও কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করে প্রতারিত হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার নেওয়ার আহ্বান জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাবলু।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এসএমএকে/আরআইএস