ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মুকসুদপুরে হামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাসহ আহত ৫ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২০
মুকসুদপুরে হামলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২ কর্মকর্তাসহ আহত ৫ 

গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুর জেলার সীমান্তবর্তী মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদী ইউনিয়নের পূর্ব রাঘদী গ্রামে মাদক বিক্রেতাকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন মাদারীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তাসহ পাঁচজন।  

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

 

আহতরা হলেন-মাদারীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৪), সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) গোলাম কিবরিয়া (৪৩), সিপাহি হাসান (৩০), সিপাহি সাইদুর (৩০) ও গাড়িচালক রাসেল ইসলাম (৩১)।  

তাদের মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

মুকসুদপুর উপজেলার সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ি পুলিশ, মাদারীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গোপন খবরের ভিত্তিতে ভোরে মুকসুদপুরের পূর্ব রাঘদী গ্রামে শাহিন শেখ (২৪) নামে এক মাদক বিক্রেতার বাড়িতে অভিযানে যায় মাদারীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পাঁচ সদস্যের একটি দল। এ সময় শাহিনের ঘরের দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে শাহিনের স্ত্রী সোনিয়া বেগম চিৎকার দিলে বাড়ির অন্যান্যরা এগিয়ে আসেন। তাদের সঙ্গে এ সময় কথা কাটাকাটি হয়। পরে ডাকাত সন্দেহে তাদের ওপর হামলা চালান স্থানীয় জনগণ।

মাদারীপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস ও এএসআই গোলাম কিবরিয়া জানান, পরিচয়পত্র দেখালেও ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিতে থাকেন বাড়ির লোকজন। পরে স্থানীয় এসে আমাদের পিটিয়ে আহত করে এবং আমাদের দু’জনকে আটকে রাখেন। এ সময় অন্য তিনজন দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
 
হামলাকারীরা এ সময় ওই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে মোবাইল সেট, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ, আইডি কার্ড ও কিছু নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আটক দুই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছিনিয়ে নেওয়া ওয়াকিটকি ও হান্ডকাফসহ অন্যান্য মালপত্র উদ্ধার করে।  

হামলার খবর পেয়ে মাদারীপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসেন জানান, এ ব্যাপারে মামলা দায়ের করা হবে।

মাদক কারবারি শাহিনের চাচা মানোয়ারের দাবি, সাদা পোশাকে কিছু লোক এসে শাহিনের দরজা ধাক্কাধাক্কি করলে আমাদের সন্দেহ হয় এবং ডাকাত মনে করে স্থানীয়রা হামলা করেন।

মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আবুল বসার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে সিন্দিয়াঘাট পুলিশ ফাঁড়ি ও মুকসুদপুর থানার পুলিশ যৌথভাবে হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করছে। এরই মধ্যে ওই কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মোবাইল ফোন, ওয়াকিটকি ও অন্যান্য মালপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুকসুদপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।