ঢাকা: ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ’ রক্ষায় বরাবরের মতো এবারও তৎপর ছিল বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। সরকার নির্ধারিত ২২ দিনে দেশের উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন নদ-নদীতে অভিযান পরিচালনা করে সর্বমোট ১ কোটি ৩৬ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও অন্য জাল জব্দ করেছে বাহিনীটি।
এছাড়া এ সময়ে ২০৪টি ইঞ্জিনচালিত বোট ও আট হাজার ৪৬ কেজি অবৈধভাবে আহরিত মা-ইলিশ জব্দ করা হয়েছে। এসব অপরাধে হাতেনাতে আটক করা হয় ৫৬৮ জন জেলেকে। কোস্টগার্ড জব্দকৃত এসব মালামালের আনুমানিক বাজার মূল্য ৫৫ কোটি টাকা।
পরবর্তীতে জব্দকৃত জাল স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। আর জব্দকৃত মাছ স্থানীয় এতিমখানা ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। আর আটক জেলেদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট বি এন খন্দকার মুনিফ তকি স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুমে দেশের নির্দিষ্ট উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে গত ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ২২ দিন ইলিশের প্রজনন এলাকায় সবধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধসহ সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং কেনাবেচা নিষিদ্ধ করা হয়।
এ সময়ে কোস্টগার্ড কার্যকরভাবে 'মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০' পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয়ের মাধ্যমে নানাবিধ কার্যক্রম গ্রহণ করে। কোস্টগার্ডের দায়িত্বাধীন এলাকায় জনসচেতনতার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিংসহ নানাভাবে প্রচারণা চালানো হয়।
এছাড়া কোস্টগার্ড সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে একক ও যৌথভাবে বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করে।
এ সময় কোস্টগার্ডের পাঁচটি ঘাঁটি, ২৩টি ছোট-বড় জাহাজ এবং ৫৮টি স্থায়ী ও চারটি অস্থায়ী কন্টিনজেন্টের সদস্যরা শতাধিক কোস্টগার্ড বোট ও ভাড়াকৃত সিভিল বোটের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন নদীতে সার্বক্ষণিক টহলে নিয়োজিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০২০
পিএম/আরবি/