ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনায় মদ ভেবে রাসায়নিক পানে দুই রংমিস্ত্রির মৃত্যু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২০
খুলনায় মদ ভেবে রাসায়নিক পানে দুই রংমিস্ত্রির মৃত্যু

খুলনা: খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাব থেকে মদ ভেবে বিষাক্ত রাসায়নিক খেয়ে দুইজন রংমিস্ত্রির মৃত্যু হয়েছে।

নিহতরা হলেন- দৌলতপুরের পাবলা করিগর পাড়ার আবু তালেবের ছেলে পারভেজ বিশ্বাস (২৯) ও একই এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে রফিকুল বিশ্বাস (৪০)।

বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) দিনগত রাতের পৃথক দুটি সময় তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় মোমরেজ বিশ্বাসের ছেলে শামীম (৩২) আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর সবাই বয়রার খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের ল্যাব রুমে বৃহস্পতিবার রংমিস্ত্রির কাজ করেছিলেন।

দৌলতপুরের কারিগর পাড়ার ব্যবসায়ী জাফরি বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, আমার বাসার পাশের তিন শ্রমিক গতকাল খুলনা মহিলা কলেজের ল্যাব ভবনে রংয়ের কাজ করেছে। তাদের স্বজনদের কাছ থেকে শুনেছি কাজ করার সময় ল্যাব রুমের একটি বোতলে এলকোহল ভেবে চুরি করে বাসায় নিয়ে আসে। পরে রাতে শামীম, পারভেজ বিশ্বাস ও রফিকুল বিশ্বাস সেটা পান করে। পারভেজ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। এবং রফিকুল বিশ্বাস রাত ১টায় বাসায় মারা যায়। সকাল ১১টায় মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ নিয়ে গেছে। শামীম অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, দৌলতপুরের পাবলা কারিগরপাড়ার পারভেজের (২৯) বাড়ির পুকুরের সামনে বসে তিন বন্ধু পারভেজ (২৯) রফিক বিশ্বাস (৪০) ও শামীম (৩২)  মিলে মদ্য ভেবে রাসায়নিক দ্রব্য পান করেন। পরে তিন জনের শরীর খারাপ হলে তার আত্মীয়-স্বজন পারভেজকে (২৯) রাতে হাসপাতালে  ভর্তি করেন। এবং শামীমকে ভোরে  ভর্তি করেন। পারভেজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এবং রফিক বিশ্বাস বাসায় মারা যান। পরে তার আত্মীয়স্বজন উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ডাক্তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে পারভেজ এবং রফিকের মরদেহ খুমেক হাসপাতালের মর্গে আছে। শামীম এখনো খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মোস্তাক আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, বয়রা কলেজ থেকে এলকোহল ভেবে রাসায়নিক দ্রব্য বাসায় নিয়ে পান করে রং মিস্ত্রী তিন জন। এর মধ্যে ২জন মারা গেছেন। একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

খুলনা মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ টিএম জাকির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সাইন্স ভবনের কাজ পেয়েছেন দৌলতপুরের এক কন্টাক্টর। ভবনের রিপিয়ার হয়ে গেছে। ওরা সাইন্স ল্যাবে রং করছিলো গতকাল বৃহস্পতিবার। ওখানে কিছু খালি বোতল ছিলো। যার মধ্যে কিছু থাকতে পারে। ওখান থেকে নিয়ে যেতে পারে। কালতে তিনজন কর্মচারী রংয়ের কাজ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
এমআরএম/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।