ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

মেয়রের বাসভবন ভেঙে মার্কেট, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৬, ২০২০
মেয়রের বাসভবন ভেঙে মার্কেট, অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

ঢাকা: ডিসেম্বরে টাঙ্গাইল পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনকে সামনে রেখে টাঙ্গাইলে বর্তমান মেয়রসহ অন্য প্রার্থীরা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

তবে শেষ মুহূর্তে পৌর মেয়রের বাসবভন ভেঙে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে পৌর কর্তৃপক্ষ। তবে পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নির্মাণ করা দোকানগুলো পৌরসভার কাউন্সিলরদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সরেজমিনে শহরের পার্ক বাজার রোডে গিয়ে দেখা যায়, পৌরসভা মেয়রের জন্য বরাদ্দকৃত বাসভবন ভেঙে সেখানে নির্মাণ করা হচ্ছে মার্কেট। আর সেই মার্কেটে ইতোমধ্যে ১১টি দোকান নির্মাণ কাজ প্রায় ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি আরো ১৮টি দোকান নির্মাণাধীন।

পার্ক বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী বাংলানিউজকে জানান, প্রথমে সেখানে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য আবাসিক ভবন নির্মাণের কথা ছিল। এজন্য সেখানে মাটি ও সয়েল টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরিক্ষা করা হয়। পরবর্তীকালে সেখানে পাইলিংও করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই ভবন নির্মাণ না করে তড়িঘড়ি করে মার্কেটের নামে ছোট ছোট দোকান নির্মাণ করছেন। আবার সেগুলো ৮-১০ লাখ টাকায় দোকান বিক্রিও করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, পৌর কর্তৃপক্ষ যেই হোক তারা দায়িত্ব নিয়েই আগে কোথায় মার্কেট নির্মাণ করা যায় সেই বিষয় নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। এজন্য তারা প্রতিবছরই নতুন নতুন মার্কেট নির্মাণ করেন আর দোকান বরাদ্দ দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন। আবার পৌরসভার কেউ কেউ নিজের নামে না নিয়ে তাদের নিকটজন আত্মীয়ের নামে দোকান বরাদ্দ নিয়ে থাকেন।

তৎকালীন পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রয়াত শামছুল হকের ছেলে মাহমুদুল হক সানু বাংলানিউজকে জানান, তার বাবা দীর্ঘদিন পৌরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সুবাধে তারা পৌর মেয়রের নির্ধারিত ওই বাসভবনে দীর্ঘ ১৬ বছর থেকেছেন। কিন্তু বর্তমানে সেটি ভেঙে ফেলে সেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি সম্পূর্ণ নিয়ম বহির্ভূত।

থানাপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন নামে এক ব্যক্তি জানান, বর্তমানে পৌরসভার খালি কোনো জায়গা নেই বললেই চলে। কারণ সেগুলোতে পর্যায়ক্রমে দোকান নির্মাণ করে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। অথচ ‘ক’ শ্রেণির টাঙ্গাইল পৌরসভায় ময়লার কোনো ভাগাড়ের জায়গা নেই। এ কারণে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে শহরের দুই প্রবেশ মুখে।

৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মীর মইনুল ইসলাম লিটন বাংলানিউজকে বলেন, পৌর মেয়রের বাসভবন ভেঙে দোকান নির্মাণ করা হচ্ছে। কিন্তু সেগুলো কাদের নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সেটি তিনি জানানে না।

এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরনের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে ফোন কেটে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।