ঢাকা: অতীত ও বর্তমানের সব সাম্প্রদায়িক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) সংখ্যালঘু নির্যাতন বন্ধসহ নানা দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে গণঅবস্থান থেকে এ দাবি জানানো হয়।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে ‘সাম্প্রদায়িকতা রুখো, বীর বাঙালি জাগো’ প্রতিপাদ্যে এ গণঅবস্থান শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এ গণঅবস্থান চলে। এরপর বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিনাজপুরের পার্বতীপুর ও কুমিল্লার মুরাদনগরের সংখ্যালঘু এলাকায় আক্রমণ, অগ্নিসংযোগ, নারী নির্যাতন; শিক্ষার্থীদের ছাত্রত্ব বাতিলের অপপ্রয়াস, অধ্যাপক কুশল চক্রবর্তীকে হত্যার হুমকি, ধর্মপ্রাণ শহিদুন্নবীকে পিটিয়ে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে এবং গ্রেফতারকৃত ছাত্র-ছাত্রীদের আশু মুক্তি, শোকজ নোটিশ প্রত্যাহার, সংখ্যালঘু সুরক্ষায় আইন প্রণয়ন, জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন ও সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠনের দাবিতে এই গণঅবস্থান।
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাংবাদিক আবেদ খান, পরিষদের অন্যতম সভাপতি উষাতন তালুকদার, নির্মল রোজারিও, সহ-সভাপতি অ্যাডভোবেট সুব্রত চৌধুরী, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সহসাধারণ সম্পাদক সঙ্গীতা ইমাম প্রমুখ।
শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, “তালেবান-ইবলিশ যারা দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে তা সফল হবে না। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় যে শক্তি দিয়ে আমরা সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীকে মোকাবেলা করেছিলাম, সেই শক্তি দিয়ে তাদেরকে রুখে দেব। ”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের উৎখাত করতে এই ষড়যন্ত্র চলছে। প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রাজাকার-আলবদর মতাদর্শের লোকজন রয়েছে। যে কারণে মাইকিং করে হামলা করার ঘোষণার পরও তা রুখে দেওয়া যায় না। ”
নিমচন্দ্র ভৌমিক বলেন , “এ দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন হচ্ছে, কারণ এদেশে আল কায়েদা আইএসের অস্তিত্ব আছে। এদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সকল হামলার পর লোক- দেখানো গ্রেপ্তার ও বিচার হয়। কিন্তু প্রতিনিয়ত বিচার বিলম্বিত হচ্ছে। ”
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দেব। যার জন্য আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বাংলাদেশকে পাকিস্তান-আফগানিস্তান বানানো চলবে না। এদেশে তালিবান আল-কায়েদার কোনো স্থান থাকবে না। ”
উষাতন তালুকদার বলেন, “করোনায় যেখানে মানুষ প্রাণে বাঁচছে না, সেখানে মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে সংখ্যালঘু নির্যাতন। এটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের নীলনকশা বাস্তবায়ন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে চাই, আপনি সাম্প্রদায়িক হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুন। আপনার সরকারকে বিতর্কিত করতেই একটি গোষ্ঠী এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
ডিএন/এজে