শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলা শহরের একটি মোবাইল শো-রুম থেকে চুরি যাওয়া ৩১টি মোবাইল ফোন ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত চোর চক্রের ১৪ সদস্যকে বিভিন্ন জেলা থেকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (০৭ নভেম্বর) দুপুরে শরীয়তপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান বিষয়টি জানান।
আটকরা হলেন, কুমিল্লা জেলার লাঙ্গলকোট থানার পাটোয়ার গ্রামের রবিউল হকের ছেলে মিলন (২৫), চাঁদপুর জেলার কুচুয়া থানার আকিয়ারা পূর্বপাড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রফিক (২৮), কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার মাছিমপুর গ্রামের গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার ছেলে মতিন, নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার দেওভোগ আখড়া গ্রামের নন্দ সাহার ছেলে নয়ন সাহা (২৮), নরসিংদী জেলার রায়পুর থানায় চরমদ্দীনগর গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে মোকারম হোসেন (৩০), কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার কেশবপুর গ্রামের মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে মানিক মিয় (২৯), কুমিল্লা জেলার ভাঙ্গুরা থানার বৈলাবাড়ি গ্রামের মৃত সামচু মিয়ার ছেলে মকবুল হোসেন (৩০)।
কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার শোলা পুকুরিয়া গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে ইকবাল হোসেন (৩০), চট্টগ্রাম জেলার কর্ণফুলি থানার সিকল বাহার গ্রামের সমসের আলমের ছেলে আইয়ুব আলী (২৮), ফটিকছড়ি থানার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের ছেলে লোকমান (২৮), লোহাগড়া থানার খলিফাপাড়া গ্রামের আশরাফ মিয়ার ছেলে মিজানুর রহমান (২৬), রাঙ্গুনিয়া থানার চন্দ্রগোনা মিশন এলাকার কমল বৈধ্যর ছেলে তুষার বৈধ্য (২৫), ফটিকছড়ি থানার রশিদাবাদ গ্রামের জালাল আহমেদের ছেলে মিজানুর রহমান (১৯) ও হাটহাজারী থানার পশ্চিম দোলই গ্রামের ইসলাম তরফদারের ছেলে শাহাবুদ্দিন ওরফে বেলাল (২৫)।
পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজ্জামান জানান, গত ৫ অক্টোবর ভোরে শরীয়তপুর জেলা শহরের পালং বাজারে স্মার্ট গ্যালারি নামকে একটি মোবাইল ফোনের শো-শোরুমে তালা ভেঙে চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি হয় বিভিন্ন ব্রান্ডের ১৬২টি মোবাইল ফোন। যার দাম ২৩ লাখ ২৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানের মালিক হেমন্ত ঘোষ বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এরপর এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম ও পালং মডেল থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পল্লব কুমার সরকারসহ অন্য অফিসার ও ফোর্সসহ গত ১০ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন জেলায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও চাঁদপুর জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ওই ১৪ আসামিকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাদের কাছ থেকে ৩১টি মোবাইল সেট ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
প্রথমে সাতজন আসামিকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। ওই ৭ জনের মধ্যে ৫ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ওই সাতজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীকালে কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে আরো সাতজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া বিভিন্ন ব্রান্ডের ৩১টি মোবাইল সেট ও সাড়ে ৩ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। এই ৭ আসামিকেও আদলতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) মিজানুর রহমান, (গোসাইরহাট সার্কেল) তানভীর আহমেদ, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলমসহ পুলিশের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২০
এনটি