ঢাকা: রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়াও ছয় জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সোহেল রানা ও মো. রাসেলকে (দুই বছর)। মাহমুদুল হাসান আপেল, ও রাজীব সরকারকে (ছয় মাস)। জাকির ও মাইনুকে এক মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এসময় সন্ধী ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে দুই লাখ ও মুন ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে পাঁচ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
শনিবার (৭ নভেম্বর) সকালটা থেকে রাত পর্যন্ত রাজধানীর শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর এলাকার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওষুধ প্রশাসন ও র্যাব-২ এর সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম।
সারওয়ার আলম বলেন, মৃত ও জীবিত ডাক্তারের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি, সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে আসা এবং কম সংখ্যক জনবল নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার অপরাধে দুই ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে সাত লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কর্মচারী, কর্মকর্তা ও দালালদের বিভিন্ন মেয়াদে ছয় জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও হাইপো থাইরয়েড সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আমরা চাই প্রতিষ্ঠানগুলো ভালোভাবে চলুক। জেল জরিমানার আওতায় না আসুক। যৌথভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত আছে।
বাংলাদেশ সময় ০৩৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এমএমআই/এসআইএস