ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যানের ফোনালাপ নিয়ে তোলপাড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২০
কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যানের ফোনালাপ নিয়ে তোলপাড় আব্দুল মান্নান খান

কুষ্টিয়া: এক নারীর সঙ্গে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমারখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের গোপন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।  

এসময় দু’জনের মধ্যে কিছু অশ্লীল কথোপকথন শোনা যায়।

এছাড়া আবাসিক হোটেলে ওই নারীর সঙ্গে চেয়ারম্যানের ছবিও ভেসে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

এনিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান।

ফোনালাপ এবং ছবির ব্যক্তি কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের বলে দাবি করেছেন ওই নারী।

তিনি আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে রাজধানীর মিরপুর এলাকার একটি হোটেলে একাধিকবার সাক্ষাতের এবং একান্তে সময় কাটানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এদিকে, মেয়েটি জানান, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মেয়েটির সঙ্গে দুই বছর আগে প্রতিবেশী মিলন নামে এক যুবকের মাধ্যমে কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ গ্রামের আইনজীবী আনিসুর রহমান লালের পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে লালের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। এরপর কুষ্টিয়া এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করেন তারা। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ায় তাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন লাল। ফলে বাধ্য হয়ে গত ১৯ অক্টোবর আনিসুর রহমান লালের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা করেন তিনি। মামলা নম্বর-১৪।
 
ওই মেয়েটির অভিযোগ, চলতি বছরের শুরুতে লাল কুমারখালী উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খানের সঙ্গে তাকে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর চেয়ারম্যানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে তার কথা হতো। এরপর আমি এবং আব্দুল মান্নান খান রাজধানীর একটি হোটেলে বেশ কয়েকবার দেখা করেছি এবং সময় কাটিয়েছি। ঢাকার হোটেলে অবস্থানের ছবিটি লাল আমার অজান্তে গোপনে ধারণ করেন। লালই আমার মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড বের করে নিয়ে যান। পরে এসব ছবি ও কথোপকথনের অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন।  

তবে এ ব্যাপারে কোনো কথা বলতে রাজি হননি কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান।

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, এমন নৈতিক স্খলন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। তবে ব্যক্তির অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায় আওয়ামী লীগ নেবে না। এর দায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই নিতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।