ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। জাতীয় সংসদের ইতিহাসে এটাই প্রথম বিশেষ অধিবেশন।
রোববার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশন কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হয়।
করোনা ভাইরাস সংকমণজনিত কারণে পূর্ব প্রস্তুতি অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে এ অধিবেশন চলবে। অধিবেশনের শুরুতে সভাপতিমণ্ডলীর নাম ঘোষণা করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী। তারা হলেন- আব্দুল কালাম আজাদ, বীরেন সিকদার, শামসুল হক টুকু, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এর পর শোক প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে চার দিন বিশেষ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (৯ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ সংসদের বিশেষ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন।
বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন নিয়ে রাষ্ট্রপতির স্মারক বক্তৃতার পর তা নিয়ে আলোচনার জন্য একটি সাধারণ প্রস্তাব আনা হবে। ওই প্রস্তাবের ওপর এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সরকার ও বিরোধী দলীয় সংসদ সদস্যদের দীর্ঘ আলোচনা শেষে তা পাস হবে। জানা গেছে সাধারণ প্রস্তাবের ওপর টানা চার দিনের আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার এই প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে। এর পর আগামী সপ্তাহে দুই বা তিন দিন সাধারণ বৈঠক চলার পর অধিবেশনটি শেষ হবে।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে সংসদ ভবনের চেম্বার কক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
এসকে/এমজেএফ