ঢাকা: পোল্ট্রি ও হিমায়িত মৎস্য রফতানি শিল্পের উন্নয়নে সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। একইসঙ্গে পোল্ট্রি শিল্প এবং হিমায়িত চিংড়ি ও অন্য মাছ রফতানি শিল্পে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন তিনি।
রোববার (৮ নভেম্বর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতর কক্ষে মন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ড্রাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিলের (বিপিআইসিসি) প্রতিনিধিরা সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে সাক্ষাৎ শেষে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ হোসেন মাসুদ, সহ-সভাপতি দেবব্রত বড়ুয়া, পরিচালক শ্যামল দাস ও দোদুল কুমার দত্ত, বিপিআইসিসির সভাপতি মসিউর রহমান, ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. আলী ইমাম, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি রাকিবুর রহমান, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মো. আহসানুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
রেজাউল করিম বলেন, করোনার মধ্যেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত সচল রাখার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। গতিশীল নীতি নিয়ে আমরা এগিয়ে যাবার চেষ্টা করছি। এ খাতকে আরও গতিশীল করার জন্য আমরা মাঠপর্যায়ে যাচ্ছি। বেকারত্ব দূর করা, উদ্যোক্তা তৈরি করা, গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করা এবং জনগণের পুষ্টি-আমিষের চাহিদা পূরণের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের ক্রম উন্নয়নে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা ক্রান্তিকালে দেশের অভ্যন্তরে সৃষ্ট এবং দেশের বাইরে থেকে আসা বেকারদের কর্মসংস্থানে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য আমরা এ খাতে তৃণমূল পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে। এ দু’টি খাতে আমরা কার্যকর পরিবর্তন নিয়ে আসতে চাই।
এর আগে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের নেতারা মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, মহাসচিব মো. খায়রুল আলম প্রিন্স, সহ-সভাপতি ডা. মো. মাহবুব আলম, দফতর সম্পাদক এম এম মিজানুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাইদুল হক চৌধুরী, নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ, সমীর চন্দ ও ড. সৈয়দ আরিফ আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
জিসিজি/আরবি/