গাজীপুর: গাজীপুরে তাকওয়া পরিবহনের চলন্ত মিনিবাসে এক কিশোরী (১৬) ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় ওই বাসচালককে আটক করেছে পুলিশ।
রোববার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ওই কিশোরী বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় শেরপুরের শ্রীবরদী থানার বাগাতা এলাকার বাসিন্দা ওই বাসের চালক সাদ্দাম হোসেন (২২) ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ইটাহাটা এলাকার বাসিন্দা বাসের সহযোগী শরীফ হোসেনকে (২০) আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরীর বাড়ি জামালপুর। তিনি ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় বাসা ভাড়া থেকে যাত্রীবাহী বাসে ফেরি করে চকলেট বিক্রি করে। শনিবার (৭ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে চকলেট বিক্রির উদ্দেশ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা বাসস্ট্যান্ডে আসে।
এসময় পূর্ব পরিচিত শরীফ হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন ওই কিশোরীকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তায় নিয়ে যায়। পরে চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যাত্রী নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে ফের খালি বাসে ওই কিশোরীকে কালিয়াকৈর পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় নেওয়া হয়। পরে বাস থামিয়ে ওই কিশোরীকে কুপ্রস্তব দেন। এতে কিশোরী রাজি না হওয়ায় শরীফ হোসেন ও সাদ্দাম হোসেন তার পরনের কাপড় ছিঁড়ে ফেলেন।
এসময় ওই কিশোরীর চিৎকারে টহল পুলিশ এগিয়ে আসতে থাকলে ওই দু’জন ওড়না দিয়ে ওই কিশোরীর মুখ বেঁধে ফেলেন। পরে সাদ্দাম হোসেন বাস চালিয়ে চন্দ্রার দিকে যেতে থাকেন। এসময় পুলিশ পেছনে ধাওয়া করে। এক পর্যায়ে বাস চন্দ্রা থেকে ইউটার্ন নিয়ে মৌচাক দিয়ে ভান্নারা আঞ্চলিক সড়কে ঢোকে।
পথে বাসের সহযোগী শরীফ হোসেন চলন্ত বাসে ওই কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে বাসটি গাজীপুরের জয়দেবপুর থানাধীন মেম্বারবাড়ী এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পৌঁছলে জয়দেবপুর থানার পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে বাস থামালে শরীফ দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ বাস থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার এবং চালক সাদ্দাম হোসেনকে আটক করে।
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদুল ইসলাম জানান, কিশোরীকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অপরজনকে আটকের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
আরএস/এএ