ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

জলমহালে মাছ শিকার, নিঃস্ব হবার পথে মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২০
জলমহালে মাছ শিকার, নিঃস্ব হবার পথে মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যরা বিল দুগাংগী (বদ্ধ) জলমহাল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ইজারাপ্রাপ্ত জলমহালে অবৈধভাবে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরা এবং নিয়মিত চুরির অভিযোগ উঠেছে। নিষেধ করা হলে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রভাবশালীর মারধরের শিকার হয়েছেন।

প্রতিপক্ষের হুমকিতে সভাপতি পরিবারের পুরুষ সদস্যরা গ্রামছাড়া কয়েকদিন ধরে।  

এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি মালু মিয়া গত বুধবার (৪ নভেম্বর) সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। মালু ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দগ্রামের আব্দুল হেকিমের ছেলে।  

২০১৮ সালের ১৬ আগস্ট ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে রামরাইল ইউনিয়নের বিল দুগাংগী (বদ্ধ) জলমহালটি ছয় বছরের জন্য ইজারা পান বার আউলিয়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড। মালু মিয়া সমিতির সভাপতি ও হাবির মিয়া সাধারণ সম্পাদক।  

লিখিত এজহার সূত্রে জানা গেছে, সেন্দবাজারের প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ মো. শাহজাহান, তার ছোট ভাই দুলাল মিয়া, মস্তু মিয়া, কাউছার মিয়াসহ তাদের পক্ষের লোকজন দীর্ঘদিন ধরেই রাতের আঁধারে মালু মিয়ার ছয় বছরের জন্য ইজারাপ্রাপ্ত বিল দুগাংগী জলমহাল থেকে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যান। এতে মালু মিয়া নিষেধ করলেও প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ তা শোনেননি। গত ৪ নভেম্বর সকালে সেন্দবাজার থেকে মাছ বিক্রির দুই লাখ টাকা নিয়ে সমিতির সভাপতি মালু ও সাধারণ সম্পাদক হাবির শহরের উদ্দেশে রওনা হন। সেসময় গ্রামের প্রভাবশালী শাহজাহান, তার ছোট ভাই দুলাল, মস্তু, কাউছারসহ তাদের লোকজন রামদা, লোহার রড, বল্লম, এককাইট্টা নিয়ে তাদের ঘেরাও করেন। বাজারে থাকা মালুর বৃদ্ধ বাবা আব্দুল হেকিমকে (৮০) ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেন। পরে মালু ও হাবিরকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে মাছ বিক্রির দুই লাখ টাকা এবং দুটি মোবাইল ফোন সেট লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়। ওইদিন প্রতিপক্ষের লোকজন মালুর বাড়িতেও হামলা চালায়। পরে মালু ও হাবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।  

মালুর বৃদ্ধ বাবা আব্দুল হেকিম, স্ত্রী রোকেয়া বেগম বলেন, প্রতিবেশী স্থানীয় ইউপি সদস্য জিলানী মিয়াও তাদের বাড়িঘর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গেছেন। আমাদের পুরুষরা বাড়িতে আসতে পারছে না। রাতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

অভিযোগ অস্বীকার করে দুলাল মিয়া ও মস্তু মিয়া বলেন, আমরা মালু মিয়াকে বিলে মাছ ধরতে কোনো বাধা দেয়নি। জলমহালের পাশে আমাদের ১৮ কানি জমি রয়েছে। তার মধ্যে একটি জমিতে পানি রয়েছে। সেখানকার মাছ ধরা নিয়েই মূল দ্বন্দ্ব।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম বলেন, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৮, ২০২০
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।