ঢাকা: দুপুর দুইটা। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি।
বাতাসে উড়ছে ধুলাবালি। এমন অন্ধকার দেখে যে কারো ভোরের কুয়াশা মনে হলেও এটি দিন-দুপুরে সড়কের ধুলো। উন্নয়নের এ সড়কে একটু বৃষ্টি হলেই হাঁটু সমান কাঁদা, আবার রোদ হলেই ধুলোয় অন্ধকার হয়ে যায়। পানি ছিটিয়ে ধুলা নিবারণ করার কথা থাকলেও তা না করায় দুর্ভোগে পথচারী ও সাধারণ মানুষ।
রোববার (০৮ নভেম্বর) সরেজমিনে উত্তরা থেকে আব্দুল্লাহপুর মোড় পর্যন্ত এ চিত্র দেখা যায়।
আব্দুল্লাহপুর এলাকার দোকান মালিক ও আশেপাশে বসবাসকারীরা বাংলানিউজকে বলেন, ধুলোর কারণে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। রাস্তা সংস্কারে খোঁড়াখুঁড়ি থেকে সৃষ্ট ধুলার কারণে আমাদের বেচাকেনা নেই বললেই চলে। সকাল-বিকেল পানি ছিটানোর কথা থাকলেও সিটি করপোরেশনের কোনো গাড়ি আমাদের চোখে পড়ছে না।
উত্তরা ১নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার আফসার উদ্দিন খান বাংলানিউজকে বলেন, আমি নিজেই সেখানে গিয়ে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) লোকদের ধুলোর বিষয়ে কথা বলেছি। তাদের আমার অফিসে ডেকে এনেও বলেছি, যেনো সকাল-বিকেলে পানি ছিটানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু হাউজ বিল্ডিং থেকে আব্দুল্লাহপুর মোড় পর্যন্ত এ রাস্তার কাজটুকু মেরামতের জন্য ও পানি ছিটানোর কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না তারা। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পানি ছিটানোর কোনো ব্যবস্থা আপনারা করছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি এড়িয়ে যান।
উত্তরা ট্রাফিক বিভাগের পূর্ব জোনের টিআই (ট্রাফিক ইন্সপেক্টর) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এয়ারপোর্ট থেকে আব্দুল্লাহপুর মোড় ব্যস্ততম সড়ক। এখানে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ধুলার কারণে এক ট্রাফিক পুলিশ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। তার থেকে বেশি হচ্ছে আমাদের জীবনের ঝুঁকি, কারণ গাড়িচালকরা ১০ হাত দূর থেকেও কিছু দেখতে পাচ্ছেন না। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
মতিঝিল থেকে গাজীপুর অনাবিল পরিবহনের বাসচালক মো. সোহল বাংলানিউজকে বলেন, রাস্তা সংস্কারের কারণে উত্তরা থেকে আব্দুল্লাহপুর মোড় পর্যন্ত খুবই খারাপ অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা, আবার রোদ হলেই ধুলায় সামনে কিছু দেখতে পাই না। কখন যে কি ঘটে যায় বুঝতে পারছি না, ভয়ে ভয়ে গাড়ি চালাতে হয়। অন্যদিকে যানজট লেগেই থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
ওএইচ