ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

প্রকল্পের টাকা উইপোকায় খাবে, এটা চাই না: তাপস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২০
প্রকল্পের টাকা উইপোকায় খাবে, এটা চাই না: তাপস ছবি: বাদল

ঢাকা: আমাদের কোনো প্রকল্পের টাকা নয়ছয় হোক বা কোনো উইপোকায় খেয়ে যাবে এটা চাই না। প্রতিটি প্রকল্পের অর্থ যেন শতভাগ সে প্রকল্পের জন্য খরচ হয় এটা নিশ্চিত করতে হবে।

এক্ষেত্রে আমরা কাউন্সিলরদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই।

সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে নগর ভবনের মেয়র হানিফ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্প (এলআইইউপিসি)’ বিষয়ে নবগঠিত সিটি করপোরেশন পর্ষদকে অবহিতকরণ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, সরকারের অনেক প্রকল্পের টাকা সে প্রকল্পের জন্য পরিপূর্ণ খরচ হয়নি, তবু খরচ দেখানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে ক্ষোভের সঙ্গেই বলেছিলেন প্রকল্পের অর্থ উইপোকা খায়।

‘আমি চাই না কোনো প্রকল্পের টাকা কোনো উইপোকা খেয়ে যাক, এটা হতে দেবো না। প্রতিটি প্রকল্পের টাকা নির্দিষ্ট প্রকল্পে ব্যয় দেখতে চাই, এক্ষেত্রে কাউন্সিলরদের পূর্ণ সহযোগিতা চাই। ’

তিনি বলেন, এর আগে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন হলেও শহরের দরিদ্ররা অনেক সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল। আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে চাই। আমরা আগামীতে নগরে বসবাসরত দারিদ্র্যের হার ১০ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে চাই।

মেয়র বলেন, রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর। দেশে এক সময় দারিদ্রসীমার নিচে ৭০ শতাংশ মানুষ বসবাস করতো। এখন সেটা ২০ শতাংশে এসেছে, হতদরিদ্র ১২ শতাংশের নিচে এসেছে। আমাদের বার্ষিক আয় ২ হাজার ডলার অতিক্রম করেছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, একটি মর্যাদার আসনে এসেছি আমরা। এখন আর কেউ ‘ডিজিটাল’ শব্দ বলে হাস্যরস করে না। আমাদের নিজ অর্থে এখন পদ্মাসেতু হচ্ছে। পদ্মাসেতু সম্পন্ন হলে আমাদের প্রবৃদ্ধি ২ শতাংশ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাকেন্দ্রিক চাপও কমে যাবে।

সিটি করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক আব্দুল মান্নান, প্রজেক্ট ম্যানেজার ইউগেশ প্রাধানন, ইউকেএইড ঢাকা অফিসের সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাডভাইজর আনোয়ারুল হক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল শরীফ আহমেদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
ইএআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।