ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নুর হোসেনের আত্মত্যাগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২০
নুর হোসেনের আত্মত্যাগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়

ঢাকা: বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে শহীদ নুর হোসেন অবিস্মণীয় নাম। মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) শহীদ নূর হোসেন দিবস।

এই নুর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারের পতন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথ সুগম হয়।

১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বৈরশাসক লে: জে: হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে যুবলীগ নেতা নুর হোসেন শহীদ হন।

এরশাদের সামরিক স্বৈরশাসনের অবসানে গড়ে ওঠা রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ‘১৯৮৭ সালের ঢাকা ঘেরাও কর্মসূচি দেওয়া হয়। ওই দিন এরশাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক দল, সামাজিক,সাাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মী এবং শ্রেণী পেশার মানুষ রাজপথে নামে। রাজধানী ঢাকার রাজপথে স্বৈরাচারর পদত্যাগের দাবিতে মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে নূর হোসেন আত্মহুতি দেন।

সেদিন নুর হোসে বুকে পিঠে ‘গণতন্ত্র মুক্তি পাক, স্বৈরাচার নিপাত যাক’লেখা স্লোগান ধারণ করে মিছিলে অংশ নেন। ওই মিছিলে পুলিশ নুর হোসেনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। সঙ্গে সঙ্গে রাজপথে লুটিয়ে পড়েন তিনি। শহীদ নূর হোসেনের মহান আত্মত্যাগের এই দিবসটি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় ও বিরল ঘটনা।

শহীদ নূর হোসেনের রক্তদানের মধ্য দিয়ে তৎকালীন স্বৈরাচারি এরশাদ বিরোধী আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। সর্বস্তরের মানুষ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে এবং আন্দোলন আরো বেগবান হয়। গড়ে ওঠে রাজপথের দুর্বার গণআন্দোলন। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে শহর থেকে গ্রাম গ্রামান্তরে। গড়ে ওঠা দুর্বার আন্দোলনের স্বৈরাচারি এরশাদের পতন আরো ত্বরান্বিত হয়। অব্যাহত লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর স্বৈরশাসক তৎকালিন রাষ্ট্রপতি এরশাদের পতন ঘটে।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো প্রতি বছর এই দিবসটিকে যথাযথ মর্যদার সঙ্গে পালন করে এবং শহীদ নুর হোসেনকে স্মরণ করে।

শহীদ নূর হোসেন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে রোববার (১০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় রাজধানীর গুলিস্তানে শহীদ নূর হোসেন স্কয়ারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে। করোনা ভাইরাসজনিত কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসের সাহসী পুরুষ শহীদ নূর হোসেন দিবস যথাযথ মর্যাদার সাথে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে পালনের জন্য আওয়ামী লীগ-এর সকল সহযোগী সংগঠনসমূহের নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘন্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এসকে/এমএমএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।