সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে অবশেষে দেউলিয়া হয়ে যাওয়া হামিম ও প্রমিস সমিতিতে সঞ্চয় করা টাকা ফেরত পেতে শুরু করেছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নির্দেশে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হুসেনের কঠোর পদক্ষেপে সোমবার (৯ নভেম্বর) থেকে সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পেতে শুরু করেন তারা।
জানা গেছে, কালিগঞ্জে সমিতি খুলে দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে ঋণ দেওয়া ও সঞ্চয় আদায় করে আসছিল হামিম ও প্রমিস নামের সংস্থাটি। সংস্থাটির প্রলোভনে পড়ে উপজেলার ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের কুকুডাঙ্গা এলাকার খেটে খাওয়া ৫৬ জন মানুষ ওই সমিতিতে টাকা জমাতেন। পাঁচ বছরে তারা প্রায় ২৩ লাখ টাকা সঞ্চয় করেছেন সমিতিটিতে।
পরে সমিতিটি দেউলিয়া হয়ে যাওয়ায় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষেরা জমানো টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন তারা।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেনকে বিষয়টি তদন্ত করার নির্দেশ দেন।
পরে কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেনের নেতৃত্বে উপ-পরিদর্শক (এসআই) চিন্ময় মণ্ডল টানা তিনদিন প্রচেষ্টা চালিয়ে সমিতির সভাপতি, সেক্রেটারি, কোষাধ্যক্ষ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সমিতির ৫৬ জন সদস্যকে একত্রিত করে জমানো টাকা আদায়ের প্রক্রিয়া শুরু করেন।
অবশেষে সোমবার কালিগঞ্জ থানা চত্বরে ভুক্তভোগী ৫৬ জনের মাঝে পাঁচ হাজার করে টাকা ফেরত দেন সমিতির লোকজন। এছাড়া বাকি টাকা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পরিশোধ করবেন বলে সমিতির সভাপতি মুচলেকা দেন।
এ প্রসঙ্গে কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশে আমরা বিষয়টি তদন্ত শুরু করি। হতদরিদ্র্য পরিবারগুলো পাওনা টাকা ফেরত পেতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এসআই