ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

এসআই আকবর পিবিআই হেফাজতে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৯, ২০২০
এসআই আকবর পিবিআই হেফাজতে

সিলেট: বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
 
সোমবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করে সিলেট জেলা পুলিশ।


 
পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালিদ উজ জামান বাংলানিউজকে বলেন, রায়হান হত্যা মামলায় এসআই আকবরকে তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে।  
 
এরআগে সন্ধ্যায় গ্রেফতার এসআই আকবরকে নিয়ে প্রেস কনফারেন্স করেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন আহম্মদ।
 
পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন দাবি করেন সীমান্তবর্তী পুলিশের কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর (জনতার) সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন তারা।
 
তিনি বলেন, রোববার (৮ অক্টোবর) তাদের কাছে খবর আসে বরখাস্ত এসআই আকবর ভারতে পালিয়ে যেতে পারে। এ খবরে আমরা কানাইঘাট সীমান্তবর্তী এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি। সকালে কানাইঘাট ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে আকবরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। যদিও বিষয়টি তিনি গোপন রেখেছিলেন।   
 
গত ১১ অক্টোবর ভোর রাতে রায়হানকে পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতন করা হয়। পরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে তার মৃত্যু হয়।
 
রায়হান ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হলেও নিহতের পরিবার ও স্বজনদের অভিযোগ ছিল পুলিশ ধরে নিয়ে ফাঁড়িতে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করেছে।
 
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরিবারের অভিযোগ ও মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের তদন্তদল ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর সত্যতা পেয়ে ইনচার্জ আকবরসহ চার পুলিশকে বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করেন।  

বরখাস্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- বন্দরবাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস। প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন। ঘটনার পর অন্য ছয়জন পুলিশ হেফাজতে থাকলেও আকবর পলাতক ছিলেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৯, ২০২০
এনইউ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।