ঢাকা: করোনার (কোভিড-১৯) কারণে কিছুটা পিছিয়ে গেলেও এ বছরই জাতীয় চিড়িয়াখানার আরো আট প্রজাতির প্রাণী আনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা: মো. আব্দুল লতিফ।
বাংলানিউজের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, করোনার কারণে অনেক কিছুই পিছিয়ে গেছে। আট প্রজাতির পশু আনতে গত এপ্রিলে আমরা টেন্ডার দিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এগুলো আনা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছি। টেন্ডারের মেয়াদ নভেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত রয়েছে। এর মধ্যেই আশা করছি নতুন আরো আট প্রজাতির পশু আনা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, এই আট প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে রয়েছে গ্রেটার কদু, আফ্রিকান সিংহ, গন্ডার, কালো ভাল্লুক, লিমা, লাল ক্যাঙ্গারু, ওয়াইন্ড বিস্ট ও বানর।
কিউরেটর বলেন, দেশ এগিয়ে চলেছে আমরাও এই এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে চাই। চিড়িয়াখানা একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান এটাকে কিভাবে আমরা আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান করবো সেই চেষ্টা করছি।
ডা: মো. আব্দুল লতিফ বলেন, আমরা চিড়িয়াখানায় পশুদের খাবারের মানের উপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করছি। খাবারের মানের ব্যাপারে কোন আপস নয়। একইসঙ্গে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে জোর দিয়েছি। আমরা পশুপাখির হিউমিনিটি বাড়াতে কাজ করছি। পশুপাখির যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তখন আমাদের ট্রিটমেন্ট এ যেতে হবে না। আশা করছি আমরা পশুপাখির হিউমিনিটি গ্রো করতে পারব।
করোনার কারণে দীর্ঘ সাত মাস দশ দিন পর বন্ধ থাকার পর চিড়িয়াখানা উন্মুক্ত হওয়ায় দর্শনার্থীদের রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হচ্ছে বলে জানালেন বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর।
তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় সাড়ে সাত মাস করোনার কারণে জাতীয় চিড়িয়াখানা বন্ধ ছিল। এই দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে শিশুরা বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। তাই এটি উন্মুক্ত হওয়ার পর রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থী প্রতিদিন চিড়িয়াখানায় ভিড় করছেন।
তিনি আরো বলেন, এই ভিড়ের মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে আমরা নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে বলছি। একই সঙ্গে আমরা হ্যান্ড স্যানিটাইজারের জন্য ১২টি স্থানে ব্যবস্থা করেছি এবং আমরা মাইকে ঘোষণা করছি নো মাস্ক নো এন্ট্রি, নো মাস্ক নো সার্ভিস। শুধু তাই নয় আমি নিজেও ঘুরে দেখেছি ৯৫ শতাংশ মানুষের মুখের মাস্ক রয়েছে এবং বাকি ৫ শতাংশ মানুষেরও হাতে ও পকেটে মাস্ক রয়েছে। তবে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে হলে সকলকে সচেতন হতে হবে। সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চিড়িয়াখানায় নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৮৬ একর জমির মধ্যে চিড়িয়াখানা অবস্থিত এত বিশাল এলাকার জন্য ২০ জন আনসার দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে সংখ্যাটা তুলনামূলক কম। আমরা চিড়িয়াখানার নিরাপত্তার জন্য সর্বদা সতর্ক রয়েছি বলেও তিনি জানান।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০২০
এসএমএকে/এমএমএস