যশোর: যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান বলেছেন, মানবাধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা ভূমিকা রাখছেন বলেই নারী ও শিশুর প্রতি নির্যাতনের প্রতিবাদ হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে যশোর শহরের একটি হোটেলে নারী ও বালিকাদের অধিকার সুরক্ষাকারীদের অ্যাডভোকেসি, লবিং ও নেগোসিয়েশন বিষয়ক চার পর্বের কর্মশালার তৃতীয় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
নিউজ নেটওয়ার্কের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনো নারী ও শিশুর মানবাধিকার পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারিনি। দৃশ্যত অনেক নারী কর্মক্ষেত্রে সফল হয়েছেন। তারপরও তার অতৃপ্তি রয়েছে। তিনি মনে করছেন শুধু নারী হওয়ার কারণে তার প্রাপ্য নিশ্চিত হয়নি। আসলে আমরা নারীদের অবস্থান থেকে বিষয়গুলো অনুধাবন করতে পারি না। এ কর্মশালার মাধ্যমে আপনারা নারী ও শিশুর মানবাধিকার বিষয়ে সচেতন হবেন। আপনাদের মাধ্যমে একজন নারীর মানবাধিকার নিশ্চিত হলেও এ কর্মশালা সার্থক হবে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নিউজ নেটওয়ার্কের ‘সাপোটিং হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারস ওয়ার্কিং ফর উমেনস অ্যান্ড গার্লস রাইটস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় গত ২ নভেম্বর শহরের হোটেল সিটি প্লাজার কনফারেন্স কক্ষে চার পর্বে ১২ দিনের এ কর্মশালা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার তৃতীয় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সম্পাদক আহসান কবীর বাবু। বক্তব্য রাখেন কর্মশালার রিসোর্স পারসন খুলনার সিনিয়র সাংবাদিক ও লেখক গৌরাঙ্গ নন্দী, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরাম (ককাস) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন।
আগামী বুধবার (১১ নভেম্বর) চতুর্থ ব্যাচের কর্মশালা শুরু হবে। চার পর্বের কর্মশালায় মোট শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী, ধর্মীয় নেতা, এনজিওকর্মী ও সাংস্কৃতিককর্মী অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
ইউজি/আরবি/