ঢাকা: প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা সম্প্রসারণে দেশের মোট ১০টি গ্রামে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ পাইলট প্রকল্প হিসেবে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি সফল হলে পর্যায়ক্রমে সারাদেশে সম্প্রসারণ করা হবে।
বুধবার (১১ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে সমবায় অধিদপ্তরের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবসে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেওয়া নির্দেশনার আলোকে পরিকল্পনা গ্রহণ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমবায় দিবসের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর গণমুখী সমবায় ভাবনার আলোকে ‘বঙ্গবন্ধু মডেল গ্রাম’ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের আরো যত্নবান হতে হবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সমবায় দিবসে সমবায়ে নারীদের অধিকহারে অংশগ্রহণের কথা বলেছেন। তার নির্দেশনার আলোকে নারীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে। বর্তমানে দেশের ২৩ শতাংশ সমবায়ী হচ্ছেন নারী, যাদের মাধ্যমে নারী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ঘটার পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ঘটছে। তাদের স্বনির্ভর করতে হবে। বিশেষভাবে পরিকল্পনা করে এটিকে আরো দৃশ্যমান করতে হবে।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব মো. রেজাউল আহসান বলেন, সমবায় সমিতিগুলো কী কাজ করছে তার একটি সচিত্র প্রতিবেদন ‘সমবায়ের সাফল্যগাঁথা’। প্রধানমন্ত্রী নিজ হাতে ‘সমবায়ের সাফল্যগাঁথা’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেছেন, যা সমবায়ের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী সমবায় পণ্যের বিকাশে উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলেছেন। তাই হাট বাজার, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে সমবায় বাজার স্থাপনে আমাদের দ্রুত পদক্ষপে নিতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, সমবায় সমিতি হচ্ছে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান। একটি সমবায় সমিতি সফল হলে এর সদস্যদের পরিবারগুলো অর্থনৈতিকভাবে সফল হয়, যা একটি এলাকার সামগ্রিক চিত্র বদলে দেয়। জনবান্ধব সেবা দিতে আমরা সর্বদা কাজ করে যাচ্ছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
এমআইএইচ/এএ