বগুড়া: বগুড়ার আদমদিঘি উপজেলায় ফাহিমা বেগম (২৮) নামে এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী সাইফুল ইসলাম (৩৪) পালাতক রয়েছেন।
বুধবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার সান্তাহার এলাকার ইয়ার্ড কলোনি বাসা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
অভিযুক্ত সাইফুল আদমদিঘি উপজেলার সান্দিড়া গ্রামের আরমান হোসেনের ছেলে। নিহত ফাহিমা বেগম সাইফুলের দ্বিতীয় স্ত্রী। এ ঘটনায় গৃহবধূ ফাহিমা ভাই ফারুক হোসেন বাদী হয়ে সাইফুলকে আসামি করে আদমদিঘি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর থেকে সাইফুল পলাতক রয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আদমদিঘির সান্তাহার ইয়ার্ড কলোনি এলাকার বাসিন্দা আইনাল শেখের মেয়ে ফাহিমার সঙ্গে সান্দিড়া গ্রামের সাইফুলের দুই বছর আগে বিয়ে হয়। তারা ইয়ার্ড কলোনিতে থাকতেন। বিয়ের পর থেকেই ফাহিমারকে তার স্বামী সাইফুল শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। সোমবার (৯ নভেম্বর) দিনগত রাতে ঘরে তালা লাগিয়ে সাইফুল পালিয়ে যান। সকালে ওই ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় প্রতিবেশীরা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে।
আদমদিঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জালাল উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, হত্যাকাণ্ডটি দুই থেকে তিনদিন আগে সংঘটিত হয়েছে। মরদেহ পচন ধরেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
কেইউএ/আরআইএস