ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের নামের আগে সেনাবাহিনীর পদবি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলির সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু।
বুধবার (১১ নভেম্বর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতাকে সম্মান জানাতে ১৪৭ বিধিতে এ সাধারণ আলোচনার প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
আব্দুল মতিন খসরু বলেন, কত নিকৃষ্ট মানুষ। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলো। সেই খুনির বিচার করা যাবে না, ইডেমনিটি দিল। কোথাও এই আইন আছে? জিয়াউর রহমান খুনিদের রাষ্ট্রদূত বানিয়েছে। খালেদা জিয়া জানে না রশীদ খুনি? রাসেলের খুনিকে তিনি চেনেন না? খুনিকে বিরোধী দলের চেয়ারে বসিয়ে দিলেন। খালেদা জিয়া অপরাধী। তারা ডকট্রিন অব ইমপিউনিটি চালু করেছিল। জিয়া এবং খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে রেগুলার যেতেন। বঙ্গবন্ধু একটু তাকালে তারা খুশি হয়ে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিরা বুক ফুলিয়ে হাঁটতো। এদের নামের সঙ্গে সেনাবাহিনীর কর্নেল, ব্রিগেডিয়ার পদবি থাকা উচিত না। আমাদের সেনাবাহিনী আমাদের গৌরব। খুনিদের নামের আগে ওসব পদবি থাকা উচিত না।
মতিন খসরু আরও বলেন, তিনি যদি ৭০ এর নির্বাচনে না যেতেন তাহলে ইতিহাস এ রকম হতো না। তিনি ম্যানডেট পেলেন। এই একটা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ স্বাধীন করেছে। বিচক্ষণ দৃঢ় নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। বঙ্গবন্ধু নাই, তার আদর্শ-চেতনা সেটা তার কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পদ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তুলনা হয় না। বঙ্গবন্ধুর ক্ষমতা ছিল ঐশ্বরিক। তবে আজ বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে তিনি শেখ হাসিনাকে বলতেন, মা তুমি প্রধানমন্ত্রী হও। মা তুমি চালাও আমি দেখি। এটা তোষামোদি নয়, বাস্তবতা।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
এসকে/আরএ