মাগুরা: মাগুরায় প্রতিবছরের মতো এ বছরও চলছে কাত্যায়নী পূজার প্রস্তুতি। আয়োজকরা বলছেন, এ বছর পূজাকে কেন্দ্র করে থাকছে না কোনো উৎসব-মেলা।
আগামী ২০ নভেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ২৪ নভেম্বর বিজয়া দশমীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের কাত্যায়নী পূজা।
মাগুরার নতুন বাজার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন মণ্ডপে চলছে প্রতিমা তৈরির কাজ। তবে এ বছর থাকবে না বিশেষ কোনো আকর্ষণ। সীমিত আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা।
মাগুরা জেলা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির মেলবন্ধন এ ঐতিহ্যবাহী কাত্যায়নী পূজা। দুর্গাপূজা শেষ হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবস্তরের মানুষ এ উৎসব উপভোগ করেন।
দরি মাগুরা ছানা বাবু বটতলা পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অপূর্ব সাহা বাংলানিউজকে বলেন, কাত্যায়নী পূজা মাগুরা জেলার ঐতিহ্য বহন করে। এ বছর বৈশ্বিক মহামারির কারণে সীমিত আকারে পূজা করা হবে।
নিজন্দুয়ালী নিতাই গৌর সেবাশ্রমের অধ্যক্ষ বাবাজি চিন্মময় আনন্দ দাস চঞ্চল গোসাই বাংলানিউজকে বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ শ্রীকৃষ্ণ রূপী স্বয়ং ভগবানকে পুত্র, বন্ধু, পতি ও প্রভু রূপে পাবার জন্য ব্রজবাসীরা কাত্যায়নী দেবীর ব্রত পালন করেছিলেন। দ্বাপর যুগে কোনো হেমন্তের প্রারম্ভে পূণ্য সলিল যুমান নদীর তীরে মাসব্যাপী ব্রত ও পূজা অনুষ্ঠানের প্রচলন হয়। ব্রহ্ম মুহূর্তে যমুনা নদীতে স্নান করে, তীরে বালুকা নির্মিত কাত্যায়নী মূর্তিতে ফুল, ফল ও অন্য উপকরণ দ্বারা আরাধনা শুরু করেন। এভাবে এক মাস উপসনার পর দেবী কাত্যায়নীর পূজা করা হয়।
মাগুরা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাসুদেব কুণ্ড বলেন, প্রতিছরের মতো এ বছর মাগুরায় চলছে কাত্যায়নী পূজার প্রস্তুতি। এ বছর মাগুরা পৌরসভায় ১৬টি, সদর থানায় ২৯টি, শ্রীপুরে ১৩টি, মহম্মদপুরে ১১টি, শালিখায় ২৩টিসহ মোট ৯২টি মণ্ডপে কাত্যায়নী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে আয়োজন সীমিত করার কথা বলা হয়েছে।
মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার খান মুহাম্মদ রেজোয়ান বাংলানিউজকে বলেন, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কাত্যায়নী পূজাকে কেন্দ্র নিরাপত্তায় পুলিশ সদস্য থাকবে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাইকে পূজামণ্ডপে আশার কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
আরবি/