ঢাকা: রাজধানীর মগবাজার থেকে উদ্ধার হওয়া বাবা ও ছেলের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে মরদেহ দুটির ময়নাতদন্ত করেন ফরেনসিক চিকিৎসকরা।
মর্গ সূত্রে জানা যায়, ময়নাতদন্তের সময় মরদেহ দুটি থেকে ভিসেরা, ব্লাড, নেক টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে মরদেহ দুটির সুরতহাল প্রতিবেদনে হাতিরঝিল থানার উপ-পরিদশর্ক (এসআই) মো. খন্দকার সেলিম শাহরিয়ার জীবন উল্লেখ করেন বুধবার (১১ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মগবাজার নয়াটোলা ওই বাসার দুটি রুম থেকে ফ্যানের সঙ্গে গলায় লুঙ্গি পেঁচানো ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- খাইরুল ইসলাম সোহাগ (৫৫) ও তার ছেলে শারাত ইসলাম আরিন (১৪)। পরে ময়নাতদন্তের জন্য রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়।
এসআই জানান, খাইরুলের বাম কানে রক্ত জমাট, ডান হাতে পুরাতন দুটি জখম, বাম হাতের নিচে সাড়ে ৩ ইঞ্চি রক্ত জমাট ও পুরাতন ঘা রয়েছে। এছাড়া শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ৫/৬ মাস ধরে তিনি মানসিক রোগে ভুগছিলেন। সমরিতা হাসপাতালেও ভর্তি ছিলেন তিনি। আর ছেলে আরিনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহত খাইরুলের এক আত্মীয় জানান, রোড অ্যান্ড হাইওয়ের ঠিকাদারির করতেন খাইরুল। এই ব্যবসায়ের দেড় থেকে দুই কোটি টাকা লোকসান হয়েছে তার। আর ছেলে আরিন অটিস্টিক। ওই দুটি কারণেই হতাশায় ছিলেন খাইরুল। মাস দুয়েক আগেও ছেলেসহ তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলো। হাসপাতালেও দুই দফায় ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছিলেন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছেলে আরিন তো অটিস্টিক ছিলো। সে তো একা একা ফাঁসি দিতে পারবে বলে মনে হয় না। তাকে ফাঁসি দিয়ে পরে বাবা নিজেই গলায় ফাঁস দিয়েছেন কিনা বিষয়টি আমাদের কাছেও পরিষ্কার না। পুলিশই এটি তদন্ত করে বের করতে পারবে।
তাদের মরদেহ দুটি আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি।
স্বজনরা জানান, নয়াটোলার ১৮১/ডি নম্বর ওই বাসার ৫ম তলায় ভাড়া থাকতেন খাইরুল, স্ত্রী নাজমুন নাহার ও একমাত্র ছেলে নিয়ে। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর রামগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
এজেডএস/এএটি