ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মেধাবী শিক্ষার্থী তিশা (১৩)। স্বপ্ন ছিলো পড়ালেখা শেষ করে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে।
ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাওয়া এই মেধাবী শিক্ষার্থীর পরিবার টাকার অভাবে তার উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
তিশা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের কলেজপাড়ার হাবিবুর রহমানের মেয়ে। চার বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে তিশার অবস্থান পঞ্চম। তিশা জেলার সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে তিশার মা আরজু বেগম জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের কাছে আর্থিক সহযোগিতার আবেদন করেন। জেলা প্রশাসক তাকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত অক্টোবর মাসে তিশার ব্যথা শুরু হয়। গত ১০ অক্টোবার পরিবারের লোকজন তাকে জেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। অবস্থার কোনো উন্নতি না হলে ১৩ অক্টোবার পরিবারের লোকজন তিশাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে পরিবারের লোকজন তিশাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রথমে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও পরে শহীদ সোরওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে গত ২৭ অক্টোবার ঢাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তিশার এমআরই পরীক্ষা করান। পরীক্ষায় তিশার মেরুদণ্ডের ছয় শতাংশ হাড় ক্ষয় হয়ে গেছে এবং সেখানে একটি টিউমার ধরা পড়ে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড হাসপাতালের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিশার মেরুদণ্ডে হাড় প্রতিস্থাপন ও টিউমার সরানো সম্ভব বলে জানিয়েছেন। কিন্তু এজন্য তিন মাস সময় লাগবে এবং চিকিৎসায় প্রায় ১০-১২ লাখ টাকা ব্যয় হবে বলে চিকিৎসকরা জানান। এখন টাকার অভাবে তিশার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে আছে।
তিশার মা আরজু আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, সংসারে অভাব অনটন। সন্তানদের পড়াশোনার খরচ। টাকা না থাকায় মেয়ের চিকিৎসাও বন্ধ হয়ে আছে। তিনি মেয়ের চিকিৎসায় সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
তিশাকে সহযোগিতা করতে চাইলে বিকাশ নম্বর (আরজু আক্তার-ব্যক্তিগত) ০১৭৮০৪২০৯৩৫। ব্যাংক হিসাব নম্বর ২১২১৫৭০০০৯৩১৬, ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
এনটি