নোয়াখালী: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভগ্নিপতি সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষানুরাগী, সমাজসেবী নোয়াখালী জেলার সাবেক রেজিস্ট্রার আমানত উল্লাহ (৭৩) আর নেই (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না লিল্লাহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভের পর কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বি. জামান জুনিয়র হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন মরহুম আমানত উল্লাহ। পরে ১৯৬৯ সালে ইস্ট-পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সাব-রেজিস্ট্রার পদে যোগদান করেন। জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে তিনি ভোলা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলায় দায়িত্ব পালন শেষে ডিভিশনাল ইন্সপেক্টর অব রেজিস্ট্রেশন অফিসার হিসেবে অবসর নেন।
মরহুম আমানত উল্লাহ ছিলেন একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। চাকরির সুবাদে তিনি ফটিকছড়ি কলেজ, ফটিকছড়ি গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল, ফটিকছড়ি নর্থ দরুম প্রাইমারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া কোম্পানীগঞ্জে চৌধুরীহাট কলেজও তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয়। কোম্পানীগঞ্জের মেহেরুন্নেছা স্কুলকে মাধ্যমিক পর্যায়ে উন্নীত করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। শিক্ষা বিস্তারের পাশাপাশি মরহুম আমানত উল্লাহ সমাজসেবায়ও অবদান রেখেছেন।
মরহুম আমানত উল্লাহর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরী, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবিএম ছিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০২০
কেএআর