ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

বয়সের শিকল থেকে মুক্তির দাবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
বয়সের শিকল থেকে মুক্তির দাবি

ঢাকা: চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ বছরসহ চার দফা দাবি আদায় এবং প্রায় ২৮ লাখ মেধাবী শিক্ষার্থীদের বয়সের শিকল থেকে মুক্তির দাবিতে শিকলবন্দি সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এ শিকলবন্দি সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বেড়েছে। সেই হিসেবে এখন চাকরির বয়স ৪০ হওয়ার কথা। আমরা চেয়েছি মাত্র ৩৫ করা হউক। বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল ১৬২ দেশে চাকরির আবেদনের বয়স ৩৫ এবং এর উর্ধ্বে সেখানে বাংলাদেশের কেন ৩৫ বছর হবে না।

সমাবেশে ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোজাম্মেল মিয়াজী বলেন, কর্মসংস্থান ও চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ সহ চার দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা দীর্ঘদিন ধরে অহিংস আন্দোলন করে আসছি‌। এখনো আমরা একই পথে আছি।

সরকার আমাদের এই যৌক্তিক দাবিকে তোয়াক্কা না করে লাখ লাখ বেকার শিক্ষিত সমাজকে অপমান-অবহেলা-অবমাননা করে আসছে। অথচ ক্ষমতায় আসার আগেই এই সরকারি অফিস দিয়েছিলেন তারা ক্ষমতায় আসলে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে।

তারা বলেন, লাখ লাখ মেধাবী শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে বয়সের শিকল হতে মুক্তি দিন। তাদের দেশ জাতির সেবা করার সুযোগ দিন।

সংগঠনের সমন্বয়ক সুরাইয়া ইয়াসিন বলেন, এই সরকার তাদের নির্বাচনী ইশতেহারে রেখেছিল, তারা ক্ষমতায় আসলে চাকরিতে অবেদনের বয়স ৩৫ বছরসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি ২০২১ সালের মধ্যে দেড় কোটি বেকার শিক্ষিত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন। আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে তার নির্বাচনী ইশতেহার পূরণের জন্য বিনীত আহ্বান জানাই। আশাকরি প্রধানমন্ত্রী মুজিববর্ষে সফল করার উদ্দেশ্যে আমাদের যৌক্তিক দাবি অতিশিগগিরই মেনে নেবেন।

মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবিসমূহের মধ্যে বিশেষ দফা হলো কর্মসংস্থান চাই। এছাড়া যৌক্তিক চার দফা দাবি সমূহ: চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি করে ৩৫ বছরে উন্নীত করতে হবে। অমানবিক আবেদন ফি কমিয়ে (৫০-১০০) টাকার মধ্যে নির্ধারণ করতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষাগুলো জেলা কিংবা বিভাগীয় পর্যায়ে নিতে হবে। তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন সহ সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

বাংলাদেশ ছাত্র কল্যাণ পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক মোজাম্মেল মিয়াজীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মোসাদ্দেক আলী, এস এ‌ সজিব আহমেদ, নাজিম উদ্দিন, রেশমা আক্তার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
পিএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।