ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ নিধন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জলাশয়ে বিষ দিয়ে মাছ নিধন বিষ দিয়ে জলাশয়ের মাছ নিধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: পূর্ব বিরোধের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আব্দুল হাই নামে এ ব্যক্তির ইজারাকৃত জলাশয়ে বিষ দিয়ে প্রায় ৩ লাখ টাকার মাছ নিধন করার অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বিষ প্রয়োগে প্রায় তিন লাখ টাকার মাছ মরে গেছে।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ক্ষতির শিকার আব্দুল হাই।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) জেলার সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ জাঙ্গালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আব্দুল হাই বাংলানিউজকে বলেন, জলাশয়টি এক বছরের জন্য গ্রামের মসজিদ কমিটির কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নেই। বর্ষা মৌসুমে ছয় মাস দেশীয় মাছ বিক্রি করি। বর্ষা চলে গেলেও জলাশয়ে পানি থাকার কারণে রুই, কাতল, সিলভার, তেলাপিয়া চাষ করি। বৃহস্পতিবার রাতে আমার প্রতিপক্ষ আনোয়ার, জনি, আমির হামজা, বিল্লাহসহ অন্যরা বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। শুক্রবার ভোরে স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পারি, আমার জলাশয়ের সব মাছ মরে পানিতে ভেসে ওঠছে।

তিনি আরও বলেন, জলাশয়টি ইজারা নেওয়ার পর থেকে তারা প্রায় সময় জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যান। গত ০৬ নভেম্বর আবার মাছ ধরতে গেলে আমি তাদের বাধা দিলে কয়েকজন মিলে আমাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় ০৮ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দেওয়ায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার জলাশয়ের বিষ দিয়ে সব মাছ মেরে ফেলে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

জাঙ্গালপাড়া গ্রামের মসজিদ কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গ্রামের আটটি পরিবার ৩৩৬ শতাংশ জলাশয়টিকে মসজিদের নামে দান করে গেছেন। এর আয় দিয়ে মসজিদ পরিচালনা করা হয়। যারা বিষ দিয়ে জলাশয়ের মাছগুলো মেরে ফেলেছে, তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।