ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

হাতিয়া গণহত্যা দিবসে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
হাতিয়া গণহত্যা দিবসে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা

কুড়িগ্রাম: ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর। চারিদিক সুনসান নিরবতা।

রোজাদার মানুষ সেহেরি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। ফজরের নামাজের আগে হঠাৎ করেই চারদিক থেকে বৃষ্টির মতো গুলি আর মর্টার সেলের গোলাবর্ষণ। ঘুমন্ত মানুষ আকস্মিক এই হামলায় প্রাণ ভয়ে ছুটতে থাকে। চারদিকে ঘিরে ফেলে পাকহানাদার বাহিনী উলিপুরের অনন্তপুর, রামখানা, নয়াডারা, বাগুয়া, নীলকন্ঠ, দাগার কুটিসহ সাত গ্রামে চালায় চিরুনি অপারেশন।  

এসময় অসহায় ৬৯৭ জন নারী, পুরুষ ও শিশুকে দাগার কুটি খালের পাড়ে একত্রিত করে পাখির মতো গুলি করে এবং জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে পাকবাহিনী। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নে নারকীয় তাণ্ডব চালিয়ে হত্যাযজ্ঞের সেদিনের নিষ্ঠুরতার কাহিনী স্মরণ করে আজো আঁতকে ওঠেন স্থানীয়রা।

দিনটি স্মরণ করে ১৩ নভেম্বর কুড়িগ্রাম তথা দেশের সবচেয়ে বড় গণহত্যা হাতিয়া গণহত্যা দিবস পালন করে আসছে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন।  

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) হাতিয়া বাজারের পাশে গণহত্যা স্মৃতিস্তম্ভে নিহতদের স্মরণে দিবসটি পালন উপলক্ষে উলিপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা অর্ধনমিতকরণ, পুষ্পমাল্য অর্পণ, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্মৃতিসৌধ চত্বরে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ-জান্নাত রুমির সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন- চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী সরকার বীর বিক্রম, উলিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার এমডি ফয়জার রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এফইএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।