ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

চরাঞ্চলে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
চরাঞ্চলে আসতে শুরু করেছে পরিযায়ী পাখি

ভোলা: শীত মৌসুমের শুরতেই ভোলার চরাঞ্চলে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এ বছরও সুদুর সাইবেরিয়া থেকে লাখ লাখ পরিযায়ী পাখি আশ্রয় নিয়েছে দ্বীপচরগুলোতে।

 

এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে ডানা মেলে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য যেন মুগ্ধ করে দর্শণার্থীদের। দুই পাশে পাখিদের কিচির-মিচির আওয়াজ আর কলকাকলি শোনা যায়। এমন দৃশ্যের দেখা মেলে সকাল-বিকেল।  

ভোলার চরফ্যাশনের কুকরী-মুকরী, ঢালচর ও মনপুরাসহ বেশকিছু স্থানে এমন দৃশ্য দেখা যায়। একটু দূরে তাকালেই দেখা যায় দল বেধে সারি সারি পাখির মেলা। এখানকার অন্তত ২০টি চরে আশ্রয় নিয়েছে এসব পাখি।

পরিযায়ী পাখিদের আগমনকে কেন্দ্র করে একদিকে বেড়েছে বনাঞ্চলের সৌন্দর্য অন্যদিকে পর্যটকরাও ছুটে আসছেন পাখি দেখতে। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে পর্যটকদের আগমন কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

রশিদ হারুন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, চরের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দেয় পরিযায়ীপাখি। দল বেধে পাখিদের উড়ে বেড়ানো আর খাবার সংগ্রহের দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর। পাখিদের কিচির-মিচির শদ্ধ শুনতে অনেক ভালো লাগে। শীত মৌসুমে অনেকে পাখি দেখতে ছুটে আসেন।

বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বঙ্গোপসাগরের কোলঘেঁষা ঢালচর, মনপুরা, কলাতলীর চর, চর কুকরি মুকরি, চর শাহজালাল, চরশাজাহান, চর পিয়াল, আইলউদ্দিন চর, চরনিজাম, ডেগরারচরসহ মেঘনা-তেঁতুলিয়ার উপকূলবর্তী মাঝের চর, মদনপুরাসহ বিভিন্ন চরে পাখিদের আনা-গোনা। সকাল-বিকেল খাবার সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায় এদের। ডানা মেলে উড়ে চলা ও পাখিদের কলকাকলীতে মুখর থাকে চরগুলো।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, একশ্রেণির অসাধু শিকারি বিষটোপ, ধানের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে আবার ছোট ছোট মাছের সাথে বিষ মিশিয়ে পাখি শিকারে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চরে আশ্রয় নেওয়া পাখিরা অনেকটা অনিরাপদ  হয়ে পড়েছে। এছাড়াও পরিযায়ী পাখিদের আভাসস্থল, বিচরণভূমি ও খাদ্যের সংকটেও রয়েছে।

এ ব্যাপারে ভোলার বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা তৈহিদুল ইসলাম বলেন, শীতের শুরুতে ভোলাতে পরিযায়ী পাখিদের আগমন শুরু হয়েছে। এখানকার চরগুলো পরিযায়ী পাখিদের জন্য বিখ্যাত। পাখিদের কেউ যাতে শিকার করতে না পারে সেজন্য বন বিভাগের আটটি রেঞ্জ থেকে টহল জোরদার করা হয়েছে। তারা নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এছাড়াও পাখি শিকার বন্ধে স্পেশাল টিম গঠন ও গোয়েন্দা নরজদারি বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।