ঢাকা: স্বেচ্ছাসেবকদের উৎস যোগাতে ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ চালু করা হয়েছে। সংগঠনগুলোর এক যৌথসভায় এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এমএলজিআরডিসি, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটারএইড যৌথভাবে ওই অ্যাওয়ার্ড চালু করলো। এর আওতায় শীর্ষ ৫ স্বেচ্ছাসেবীকে যথাক্রমে ১ লাখ, ৭৫ হাজার, ৫০ হাজার, ৩০ হাজার ও ২০ টাকা পুরস্কার পাবেন। এছাড়াও দেওয়া হবে ক্রেস্ট ও সনদপত্র। ৬ থেকে ১৫তম অবস্থানধারীরাও পাবেন ক্রেস্ট ও সনদপত্র।
বিগত কয়েক মাস ধরে কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারি বিশ্বজুড়ে হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ পরিস্থিতিতে কোনরূপ স্বীকৃতি প্রাপ্তির অঙ্গীকার বা প্রত্যাশা ছাড়াই শুধুমাত্র মানবিক কারণে অনেকেই এ ভাইরাস মোকাবিলায় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বেচ্ছাসেবীরা এই কঠিন সময়ে নিজেদের জীবন বিপন্ন করে মানুষকে উৎসাহিত করতে নিরলস নানা কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ক্রান্তিকালে দেশ ও মানুষের জন্য নিবেদিতভাবে কাজ করে যাওয়া স্বেচ্ছাসেবীদের স্বীকৃতি দিতে স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইউএনভি বাংলাদেশ এবং ওয়াটারএইড ‘আইভিডি বাংলাদেশ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।
স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসাহিত করতে আগামী ৫ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাপী ‘ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ার ডে’ (আইভিডি) উদযাপন করা হবে। এ দিবস উপলক্ষে, দেশের সবচেয়ে নিবেদিত ও কঠোর পরিশ্রমী ১৫ জন স্বেচ্ছাসেবীকে ওই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে।
এ পুরস্কারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভলান্টিয়ার ফর কোভিড-১৯ রেসপন্স অ্যান্ড রিকভারি’। এ পুরস্কারের জন্য আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবীদের দক্ষতা মূল্যায়নের উদ্দেশ্যে বিস্তারিত কার্যবিবরণ প্রদানের মাধ্যমে আয়োজকরা তাদেরকে আবেদনপত্র জমা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লীউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ মহামারির সময় হাজারো স্বেচ্ছাসেবী মানুষের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে। তাদের স্বীকৃতি দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, মহামারির সময়ে তরুণ স্বেচ্ছাসেবীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাদের কাজের স্বীকৃতি দেয়া উচিৎ।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, বাংলাদেশের তরুণদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবাকে উৎসাহিত করাই এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। কোভিড-১৯ আমাদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ পরিস্থিতিতে তরুণদের সমন্বিত প্রয়াস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ যৌথ উদ্যোগটি যে কোন সঙ্কট মোকাবিলায় তরুণদের সম্পৃক্ত করতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
ইউএনভি বাংলাদেশের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর আকতার উদ্দিন বলেন, কোভিড-১৯ সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবীরা ইতিবাচক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। ইন্টারন্যাশনাল ভলান্টিয়ারর্স ডে-২০২০ উপলক্ষে দেশের এই ক্রান্তিকালে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় তাদের কাজের স্বীকৃতি দিতে চাই, যাতে স্বেচ্ছাসেবীরা অনুপ্রাণিত হতে পারে।
নির্দেশনা অনুযায়ী আবেদনকারীদের প্রাথমিকভাবে তাদের কাজের বিবরণ এবং ব্যক্তিগত তথ্য জমা দিতে হবে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা এ ওয়েবসাইটে www.unvolunteersbd.org এবং www.wateraid.org/bd ডিওয়াইডি সোশ্যাল মিডিয়া departmentofyouthdevelopmenthq প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যাবে।
আবেদন ফরম এই লিংকে https://rb.gy/kwcv9oপাওয়া যাবে। আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২০
এএটি