হবিগঞ্জ: গত ১১ নভেম্বর আগুনে পুড়লো ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এর কিছুদিন আগে পুড়েছিল আরও ৩৯টি।
অথচ এই উপজেলায় নেই সরকারি কোন ফায়ার সার্ভিস স্টেশন। আগুন লাগলে অন্য উপজেলা থেকে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই পুড়ে যায় সম্পদ। নিঃস্ব হতে হয় লোকজনকে।
স্থানীয় প্রশাসনের হিসেবে আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় গ্রামের সংখ্যা ১৩৩টি। যেখানে ২১ হাজার ৯৯৩টি পরিবারে ১ লাখ ১৪ হাজার ২৬৫ মানুষের বাস। ৭৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি দপ্তর রয়েছে শতাধিক। কিন্তু হাওরাঞ্চলের রাজধানী খ্যাত উপজেলাটিতে এখনও স্থাপন হয়নি একটি ফায়ার স্টেশন।
আজমিরীগঞ্জ বাজারে গত ৯ নভেম্বর একটি পেট্রোলের দোকানে আগুনে লেগে ১২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এর আগে ১৮ সেপ্টেম্বর পাহাড়পুর বাজারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে পুড়েছিল আরও ৩৯টি দোকান। প্রশাসনের হিসেবে এ দুই অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৩০ কোটি টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বাংলানিউজকে জানান, আগুন লাগার পর অন্য উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিস আসতে এক ঘণ্টা সময় লাগে। যে কারণে পুরো বাজারে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সেজন্য পথে বসতে হল অনেক ব্যবসায়ীকে।
স্থানীয় কয়েকজন বাংলানিউজকে জানান, আজমিরীগঞ্জের হাটে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন হাওরাঞ্চলের হাজার হাজার ক্রেতা ভিড় করেন। প্রতি বছর লাখ লাখ মেট্রিক টন ধান উৎপাদন হয় এখানে। কিন্তু জনগণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে কোন ফায়ার স্টেশন স্থাপন হয়নি। দ্রুত একটি ফায়ার স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা আজমিরীগঞ্জে ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এখনো কাজ হয়নি। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন না থাকায় প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ছে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, আজমিরীগঞ্জে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে।
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান বলেন, এখানে শিগগির একটি অত্যাধুনিক ফায়ার স্টেশন নির্মাণের চেষ্টা চালাচ্ছি। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণে কিছু জটিতলতা থাকায় বিলম্ব হচ্ছে। তবে জটিলতার নিরসন হয়েছে। জল ও স্থলপথের সুবিধা রেখেই দ্রুত স্টেশনটি নির্মাণের টেন্ডার হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০৪৪৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২০
এমআরএ